
সরকারি আকবর আলী কলেজের সুবিশাল পুকুরটি এবং খেলার মাঠ কলেজের বাউন্ডারির ভেতরে অবস্থিত হওয়ায় এ দুটি স্থাপনা কলেজের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি অব্যবস্থাপনার কারণে পুকুরটি কচুরিপানায় ভরে গেছে এবং খেলার মাঠটি জলমগ্ন হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
৫ আগস্টের পূর্বে পুকুরটি এলাকার দলীয় লোকজন লিজ নিয়ে মাছ চাষ করত। কিন্তু ৫ আগস্টের “বর্ষা বিপ্লবের” পরদিন অসংখ্য সাধারণ জনগণ বরশি ও জাল দিয়ে দিনভর মাছ শিকার করে। জনগণের এই বিজয়োল্লাস শেষে কলেজ কর্তৃপক্ষ পুকুরটি পুনরায় লিজ না দিয়ে কলেজের উদ্ভিদ ও প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের জন্য জীব বৈচিত্র্যের পুকুর হিসেবে ঘোষণা করেন।
ঘোষণার পর পুকুরের নান্দনিকতা বাড়ানোর কথা থাকলেও, সম্প্রতি পুকুরটি সম্পূর্ণভাবে কচুরিপানা দিয়ে ভরে গেছে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, কচুরিপানা দ্রুত সরানো না হলে তা এত বৃদ্ধি পাবে যে পুকুরটির অস্তিত্ব রক্ষা করাই কঠিন হবে।
এদিকে, উল্লাপাড়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই কলেজের মাঠটি শহরের শিশু, কিশোর এবং তরুণদের খেলার একমাত্র ভরসা হলেও বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টি এবং পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকায় পুকুর ও খেলার মাঠ যেন কচুরিপানা ও পানিতে একাকার হয়ে গেছে। নিরুপায় হয়ে খেলাপ্রেমী শিশুরা এখন মুঠোফোনের নেশায় বুঁদ হয়ে ঘরে বন্দি জীবনযাপন করছে।
এলাকাবাসী মনে করেন, উদ্ভিদ ও প্রাণী বিজ্ঞানের জন্য বরাদ্দকৃত জীব বৈচিত্র্যের পুকুরটি থেকে কচুরিপানা দ্রুত পরিষ্কার করা এবং খেলার মাঠটি খেলাপ্রেমীদের জন্য খেলার উপযোগী করা উচিত।
সরকারি আকবর আলী কলেজের পাশাপাশি উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজ, মার্চেন্টস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঝিকিড়া বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠগুলোতেও বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে যায়। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের মাঠগুলোও খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এমনকি হাঁটু পানি অতিক্রম করে শিক্ষার্থীদের শ্রেণি পাঠদান সম্পূর্ণ করতে হয়, যা তাদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক। বিশেষ করে ঝিকিড়া বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সমস্যা প্রকট, কারণ এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সবাই ছোট।
সচেতন মহল মনে করেন, জনস্বার্থে অতি দ্রুত এই মাঠগুলোতে মাটি ভরাট করে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা করা উচিত।