
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মা ও মেয়েকে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পারভেজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে লুট হওয়া সাত ভরির বেশি স্বর্ণালঙ্কার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন।
তিনি জানান, নিহতদের মামাতো ভাই পারভেজ হোসেন মাস দুয়েক আগে বিদেশ থেকে দেশে ফেরেন। দেশে ফিরে চরম আর্থিক সংকটে পড়েন তিনি। এনজিওর কিস্তি ও ব্যাংক লোনের চাপের মধ্যে পড়ে মামার বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার লুটের পরিকল্পনা করেন।
গত ৯ অক্টোবর সন্ধ্যার পর রামগঞ্জ উপজেলার উত্তর চন্ডিপুর গ্রামে পারভেজ প্রথমে একটি চাকু কিনে বিকেলের দিকে মামার বাড়িতে যান। মামা না থাকায় বাসায় কেবল ছিলেন তার স্ত্রী জুলেখা বেগম (৪৫) এবং কন্যা তানহা আক্তার মীম (১৭)। আপ্যায়নের পর পারভেজ দ্বিতীয় তলায় যান মীমের সঙ্গে। সেখানে সে মীমকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। পরে নিচে নেমে মামিকে উপরতলায় ডেকে নিয়ে একই কায়দায় তাকে হত্যা করে। হত্যার পর ঘরের আলমারি থেকে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায় সে।
পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত করে শুক্রবার সকালে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে পারভেজকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যার দায় স্বীকার করে এবং আদালতে জবানবন্দি দেয়।
পুলিশ সুপার বলেন, “পারভেজ একাই এই বর্বর হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। হত্যার মোটিভ, পদ্ধতি এবং লুণ্ঠিত মালামালসহ প্রায় সব রহস্য উদঘাটন হয়েছে। দ্রুতই মামলার চার্জশিট দাখিল করা হবে।”