ঢাকা ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
কাজিপুরে অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে নদী খননের মাটি তিস্তা মহাপরিকল্পনার দাবিতে একযোগে মশাল প্রজ্জ্বলন বিলাইছড়িতে রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কার ও দলীয় কার্যক্রম গতিশীল করতে ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সভা বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত গাইবান্ধায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু; ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের চেষ্টা বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পক্ষ থেকে এস.এম. শফিউল আজমকে সংবর্ধনা  আখতারুজ্জামান স্মরণে ঈশ্বরদীতে স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত “জনগণের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে নাগরিক সেবা” — বিভাগীয় কমিশনার এইচএসসিতে পাশের হার ৫১.৫৪ শতাংশ; ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড রাজস্থলীতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা : নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে

শিক্ষক সংকটে ভঙ্গুর দেওয়াই হেডম্যান পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় : প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য

বান্দরবানের সদর উপজেলার ৭ নং ওয়ার্ড, ৪নং সুয়ালক ইউনিয়ন “দেওয়াই হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়” চরম শিক্ষক সংকটে ভুগছে। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য এবং পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে পিছিয়ে পড়ছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ আগস্ট ২০২৪ সালে হঠাৎ প্রধান শিক্ষক বদলি  হয়ে যায়। তখন থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে মাত্র তিনজন শিক্ষক কর্মরত আছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব না থাকায় প্রশাসনিক কাজেও জটিলতা দেখা দিয়েছে।

বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা সীমিত জনবল নিয়েই পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে কেজি হতে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ১৫৫ জন ছাত্র ছাত্রী অধ্যয়ন করছে।

অভিভাবক সাংখাম ম্রো জানান, দেওয়াই হেডম্যান পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটে ভুগছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য থাকায় শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এই জন্য গত  তিন মাস আগে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর একটা দরখাস্ত আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর হয়নি।  বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা কম এবং  প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায়  শিক্ষার্থীদের মাঝে  পড়ালেখার মান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

অভিভাবক রেংরাং ম্রো বলেছেন, শিক্ষক সংকটের কারণে শিশুদের পড়াশোনার প্রতি অনীহা তৈরি হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী নিয়মিত স্কুলে না গিয়ে খেলাধুলা কিংবা অন্যান্য কাজে সময় ব্যয় করছে। এমতবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে উড্রো হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করেছেন এবং  দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও পর্যাপ্ত শিক্ষক পাঠানোর জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে  এসএমসি সভাপতি বলেন, আমাদের এলাকার শিশুরা ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছে না। সরকার যদি দ্রুত প্রধান শিক্ষক ও অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ না দেয়, তবে আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মেনয়াং ও ক্রংঙি ম্রো বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় পড়াশোনার মানও বজায় রাখা যাচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা যেমন কষ্ট পাচ্ছে, তেমনি আমাদেরও প্রচণ্ড চাপের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে  বান্দরবান সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার   মুহম্মদ এমদাদ হোসেন জানান,  আমরা ইতিমধ্যে বিদ্যালয়টির শিক্ষক সংকট ও প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের বিষয়টি  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অবগত করেছি। আগামী কয়েকটি মাস পরে  খুব দ্রুতই নতুন শিক্ষক পদায়ন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

এদিকে এলাকাবাসী এবং শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নের স্বার্থে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

কাজিপুরে অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে নদী খননের মাটি

শিক্ষক সংকটে ভঙ্গুর দেওয়াই হেডম্যান পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় : প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য

আপডেট সময় ১২:৫৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

বান্দরবানের সদর উপজেলার ৭ নং ওয়ার্ড, ৪নং সুয়ালক ইউনিয়ন “দেওয়াই হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়” চরম শিক্ষক সংকটে ভুগছে। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য এবং পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে পিছিয়ে পড়ছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ আগস্ট ২০২৪ সালে হঠাৎ প্রধান শিক্ষক বদলি  হয়ে যায়। তখন থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে মাত্র তিনজন শিক্ষক কর্মরত আছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব না থাকায় প্রশাসনিক কাজেও জটিলতা দেখা দিয়েছে।

বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা সীমিত জনবল নিয়েই পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে কেজি হতে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ১৫৫ জন ছাত্র ছাত্রী অধ্যয়ন করছে।

অভিভাবক সাংখাম ম্রো জানান, দেওয়াই হেডম্যান পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটে ভুগছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য থাকায় শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এই জন্য গত  তিন মাস আগে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর একটা দরখাস্ত আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর হয়নি।  বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা কম এবং  প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায়  শিক্ষার্থীদের মাঝে  পড়ালেখার মান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

অভিভাবক রেংরাং ম্রো বলেছেন, শিক্ষক সংকটের কারণে শিশুদের পড়াশোনার প্রতি অনীহা তৈরি হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী নিয়মিত স্কুলে না গিয়ে খেলাধুলা কিংবা অন্যান্য কাজে সময় ব্যয় করছে। এমতবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে উড্রো হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করেছেন এবং  দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও পর্যাপ্ত শিক্ষক পাঠানোর জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে  এসএমসি সভাপতি বলেন, আমাদের এলাকার শিশুরা ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছে না। সরকার যদি দ্রুত প্রধান শিক্ষক ও অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ না দেয়, তবে আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মেনয়াং ও ক্রংঙি ম্রো বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় পড়াশোনার মানও বজায় রাখা যাচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা যেমন কষ্ট পাচ্ছে, তেমনি আমাদেরও প্রচণ্ড চাপের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে  বান্দরবান সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার   মুহম্মদ এমদাদ হোসেন জানান,  আমরা ইতিমধ্যে বিদ্যালয়টির শিক্ষক সংকট ও প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের বিষয়টি  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অবগত করেছি। আগামী কয়েকটি মাস পরে  খুব দ্রুতই নতুন শিক্ষক পদায়ন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

এদিকে এলাকাবাসী এবং শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নের স্বার্থে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।