
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় নিম্নমানের ধান বীজ সরবরাহের কারণে শতাধিক কৃষক মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ধানের চারা রোপণের অল্প কিছুদিন পরেই চারা গাছে শীষ ধরার মতো অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে, যা শুরুতে বিস্ময়কর হলেও শেষ পর্যন্ত তা কৃষকদের জন্য এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের, ইকবাল হোসেন, রুস্তম বয়াতি, শাহাদাত হোসেন, জাকির হোসেন, বেলায়েত হোসেন, হযরত আলী প্রমুখ চাষিরা জানান, ধান পরিপক্ক হওয়ার আগেই চারায় শীষ ধরার ফলে দানাগুলো ঠিকভাবে পূর্ণতা পায়নি। এতে অধিকাংশ ধানে চিটা ধরেছে, ফলে ফলন অর্ধেকেরও নীচে নেমে এসেছে। কৃষকদের সম্মিলিত ক্ষতির পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তারা আরও জানান, গত বছর সাউথ এশিয়ান সীডস কোম্পানির বি.আর-২২ জাতের ধানে ভালো ফলন পাওয়ায় এ বছরও তারা একই বীজ কিনেছিলেন। স্থানীয় ডিলার নাসির উদ্দিন সরদারের দোকান থেকে এসব বীজ সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে নিম্নমানের বীজ ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা।
তারা বলেন, এক একর জমিতে অন্তত ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে, অথচ ডিলার দিয়েছে মাত্র ৫ হাজার টাকা করে। এটা অন্যায়। এতে আমরা রীতিমতো অসন্তুষ্ট।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ডিলার নাসির উদ্দিন সরদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি দোকান থেকে সরে পড়েন।
পাথরঘাটা উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হিমেল আল ইসলাম জানান, নিম্নমানের বীজের কারণে প্রায় ৯০ একর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৬০ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা দ্রুত যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং নিম্নমানের বীজ সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।