
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের স্ত্রী জুলেখা বেগম ও কলেজ পড়ুয়া মেয়ে তানহা আক্তার মীমকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় সোহেল হোসেন নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
রামগঞ্জের উত্তর চন্ডিপুরে আলোচিত মা-মেয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকা সন্দেহে ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড দক্ষিন হরিশ্চর বাদুরবাড়ির সোহেল ওরুফে চোরা মান্নাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে চুরি,ছিনতাই,ডাকাতি সহ একাদিক অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,সোহেল দীর্ঘদিন থেকে চুরি ছিনতাই ডাকাতি সহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত, সে ডজন খানেক বিয়েও করেছে।
এদিকে জোড়াখুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে রামগঞ্জের সোনাপুর বাজারে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বাজারের ব্যবসায়ী ও সর্বস্তরের মানুষ। মানববন্ধন শেষে বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষ করে পুনরায় সোনাপুর বাজারে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন, বাজারের ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদলের নেতারা। তারা বলেন, ঘটনার ৫ দিন পার হলেও হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। কী কারণে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে, সেটাও নিশ্চিত নয়। অনতিবিলম্বে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারী বলেন, জোড়াখুনের ঘটনায় সোহেল হোসেন নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার সোহেল এলাকার চিহ্নিত মাদকাসক্ত ও ডাকাতদলের সদস্য। তবে হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোহেল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এ নিয়ে মামলার বাদী মিজানুর রহমানের ভাতিজা সোহেলসহ দুইজন গ্রেপ্তার করা হলো।