
ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গীতে খুচরা সার বিক্রেতা আইডি কার্ডধারীদের সার দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তায় খুচরা সার বিক্রেতা হিসেবে নিবন্ধিত আইডি ধারীদের সার বরাদ্দ দেওয়ার দাবিতে খুচরা সার বিক্রেতা অ্যাসোসিয়েশনের অব বাংলাদেশের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষক রাজ্জাক বলেন, আলু চাষীরা পর্যায়ক্রমে আলু রোপন করবে, পর্যায়ক্রমে আলু তুলে বাজারে বিক্রি করবে। তাহলে দুপয়সা লাভ পাবে। ডিলাররা বাহানা ধরেছে তারা মাসে একদিন সার দিবে। বাকি ২৯ দিন কৃষকরা কোথায় সার পাবে।দ, কার কাছে যাবে। এজন্য সার বিক্রি উন্মুক্ত ভাবে করার দাবি জানান তিনি।
কর্মসূচীতে সংহতি জানিয়ে মহিষমারী গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি একজন কৃষক ৩৫-৪০ বিঘা জমিতে আবাদ করি। সারের জন্য ঘুরতে ঘুরতে কৃষকদের প্রতিটি ফসল পিছিয়ে যাচ্ছে, ফলন কম হচ্ছে। এসব দুর করে কৃষকদের কথা ভাবতে হবে। কিন্তু আমাদের কথা শোনার মত কেউ নেই। পকেটে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ঘুরছি কেউ সার দিতে পারছে না।
বড়বাড়ি গ্রামের কৃষক সাদেকুল ইসলাম বলেন, আমি কয়েকদিন বিভিন্ন ডিলারের কাছে ঘুরে সার পায়নি। বার বার সময় দেখিয়ে ঘুরিয়ে হয়রানী করছে ডিলাররা। আমাদের কৃষকদের দাবী আমরা যেন খুচরা সার বিক্রেতাদের কাছে সার পায়। সরকার যেন খুচরা বিক্রেতাদের সার দেয় এটাই কৃষকদের দাবি।
খুচরা সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সভাপতি সাবুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ সালে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা আছে বিসিআইসি ডিলারদের বরাদ্দ করা সারের মধ্য ৬০ ভাগ আমাদেরকে দিতে হবে। এটি বাস্তাবায়ন হলে সারের সংকট থাকবে না। কৃষকরা তাদের সুবিধামত সার খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে কিনতে পারবে। আমরা প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নের দাবিতেই রাস্তায় দাড়িয়েছি। তাহলেই সব সমস্যা সমাধান হবে। আমরা অন্য জায়গা থেকে সার নিলে সরকার আমাদের সার জব্দ করছে। তাহলে কিভাবে কৃষকদের সার দিব। ডিলার সার দেয় ১ দিন আর আমরা দিচ্ছি ২৯ দিন।
মানববন্ধনে খুচরা সার ব্যবসায়ীসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।