
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের গাছা মেট্রো থানায় যুবক গাজী মাহদী হাসানকে (২৮) ‘হত্যা’ করে ফ্যানের হুকের সাথে ঝুলিয়ে রাখার ঘটনায় অবশেষে আইনি প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিহতের বাবা মো. আরব আলী বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করার পর, গত ০৮/১০/২০২৫ তারিখে মামলাটি ৩০২/৩৪ পেনাল কোর্ট ধারায় রুজু হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত ২০/০৯/২০২৫ ইং তারিখে যুবকটিকে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন নিহতের স্ত্রী নূর নাহার আক্তার নাদিয়া, শ্বাশুড়ি মোসাঃ পারভীন আক্তার-সহ মোট আটজন নামীয় ও অজ্ঞাত আরও ৬/৭ জন।
মামলার বাদী মো. আরব আলীর এজাহারের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) অনুরূপ বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ৩০২ ধারা (হত্যা) এবং ৩৪ ধারা (একাধিক ব্যক্তির দ্বারা অভিন্ন উদ্দেশ্য সাধনে কৃতকার্য) অনুযায়ী মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই ধারাগুলো প্রমাণ করে যে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং তাতে একাধিক ব্যক্তির যোগসাজশ ছিল বলে মনে করছে বাদী পক্ষ।
তবে, মামলার গুরুতর ধারা যুক্ত হওয়া সত্ত্বেও, এক মাসেরও বেশি সময় পার হয়ে যাওয়ায় প্রধান আসামিরা এখনও অধরা। নিহতের বাবা এই বিলম্বের কারণে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে চরম শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
গাছা মেট্রো থানার তদন্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, মামলার তদন্ত চলছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি : 



















