ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
মিরপুরের কালশী রোডে কমিউনিটি সেন্টারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট ঢাকা-১৮ আসনে ‘সমৃদ্ধ সমাজ’ গড়ার অঙ্গীকার এস এম জাহাঙ্গীরের: বিএনপি’র ৩১ দফা ও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে দক্ষিণখানে উঠান বৈঠক একটি কুচক্রী মহল ধর্মকে ব্যবহার করে ভোটের রাজনীতি করছে – ঈশ্বরদীতে হাবিবুর রহমান হাবিব পাপ্পু সরকার সহ ৭ বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন একটি সুষ্ঠু রাষ্ট্র কাঠামো উপহার পায় : এম কফিল উদ্দিন টঙ্গীতে খতিব নিখোঁজের ঘটনায় ইসকন বিরোধী বিক্ষোভ গাইবান্ধায় ৯ বছরের শিশুকে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ গাইবান্ধায় সেচ পাম্প চালু করতে গিয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রোয়াংছড়িতে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও গণসংযোগ সিরাজগঞ্জে সম্মিলিত প্রয়াস (রায়গঞ্জ-তাড়াশ-সলঙ্গা) সংগঠনের ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

দুর্গম পাহাড়ে বিশুদ্ধ পানির স্বপ্ন পূরণ করল রবি

বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম ওয়াকচাকু পাড়ায় প্রথমবারের মতো নিরাপদ পানির সুবিধা নিশ্চিত করেছে রবি আজিয়াটা পিএলসি ও গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। রবির সিএসআর স্বাস্থ্য উদ্যোগ ও টেকসই সম্প্রদায় উন্নয়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হয়েছে এই মানবকল্যাণমূলক প্রকল্পটি।

দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মক পানির সংকটে ভুগছিল ওয়াকচাকু পাড়ার বাসিন্দারা। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এখন ১৩৪ জন স্কুলশিক্ষার্থীসহ মোট ৪১৭ জন স্থানীয় বাসিন্দা সারা বছর নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানির সুবিধা পাচ্ছেন।

প্রকল্পের আওতায় স্থাপন করা হয়েছে দুটি ৫,০০০ লিটার ধারণক্ষমতার রিজার্ভার এবং ২,৫০০ ফুট দীর্ঘ পাইপলাইন, যা পাহাড়ি ঢাল অতিক্রম করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করেছে। এতে প্রাকৃতিকভাবে পানি পরিশোধন হয় এবং বর্ষাকালেও সরবরাহ নির্বিঘ্ন থাকে।

এখন আর বাসিন্দাদের ১,৫০০ ফুট উঁচু পাহাড়ে উঠে অনিরাপদ উৎস থেকে পানি আনতে হয় না। সময় বাঁচে প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত, যা তারা শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও গৃহস্থালি কাজে ব্যয় করতে পারছেন। পাশাপাশি ডায়রিয়া, টাইফয়েড, কলেরা ও আমাশয়ের মতো পানিবাহিত রোগের ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।

রবি আজিয়াটা পিএলসির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা শুধু মৌলিক চাহিদা নয়; এটি স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের ভিত্তি। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রবি।

গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ ফাহমি বলেন, সৃজনশীল প্রকৌশল সমাধান ও স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে আমরা এমন এক টেকসই পানি ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি, যা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।

এই প্রকল্প জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)–এর সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ এবং বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন লক্ষ্যের সাথে সরাসরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে রবির এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি অনুকরণীয় উদাহরণ।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বার্তা বিভাগ

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

মিরপুরের কালশী রোডে কমিউনিটি সেন্টারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট

দুর্গম পাহাড়ে বিশুদ্ধ পানির স্বপ্ন পূরণ করল রবি

আপডেট সময় ০৮:২৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম ওয়াকচাকু পাড়ায় প্রথমবারের মতো নিরাপদ পানির সুবিধা নিশ্চিত করেছে রবি আজিয়াটা পিএলসি ও গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। রবির সিএসআর স্বাস্থ্য উদ্যোগ ও টেকসই সম্প্রদায় উন্নয়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হয়েছে এই মানবকল্যাণমূলক প্রকল্পটি।

দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মক পানির সংকটে ভুগছিল ওয়াকচাকু পাড়ার বাসিন্দারা। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এখন ১৩৪ জন স্কুলশিক্ষার্থীসহ মোট ৪১৭ জন স্থানীয় বাসিন্দা সারা বছর নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানির সুবিধা পাচ্ছেন।

প্রকল্পের আওতায় স্থাপন করা হয়েছে দুটি ৫,০০০ লিটার ধারণক্ষমতার রিজার্ভার এবং ২,৫০০ ফুট দীর্ঘ পাইপলাইন, যা পাহাড়ি ঢাল অতিক্রম করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করেছে। এতে প্রাকৃতিকভাবে পানি পরিশোধন হয় এবং বর্ষাকালেও সরবরাহ নির্বিঘ্ন থাকে।

এখন আর বাসিন্দাদের ১,৫০০ ফুট উঁচু পাহাড়ে উঠে অনিরাপদ উৎস থেকে পানি আনতে হয় না। সময় বাঁচে প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত, যা তারা শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও গৃহস্থালি কাজে ব্যয় করতে পারছেন। পাশাপাশি ডায়রিয়া, টাইফয়েড, কলেরা ও আমাশয়ের মতো পানিবাহিত রোগের ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।

রবি আজিয়াটা পিএলসির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা শুধু মৌলিক চাহিদা নয়; এটি স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের ভিত্তি। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রবি।

গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ ফাহমি বলেন, সৃজনশীল প্রকৌশল সমাধান ও স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে আমরা এমন এক টেকসই পানি ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি, যা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।

এই প্রকল্প জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)–এর সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ এবং বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন লক্ষ্যের সাথে সরাসরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে রবির এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি অনুকরণীয় উদাহরণ।