
বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম ওয়াকচাকু পাড়ায় প্রথমবারের মতো নিরাপদ পানির সুবিধা নিশ্চিত করেছে রবি আজিয়াটা পিএলসি ও গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। রবির সিএসআর স্বাস্থ্য উদ্যোগ ও টেকসই সম্প্রদায় উন্নয়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হয়েছে এই মানবকল্যাণমূলক প্রকল্পটি।
দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মক পানির সংকটে ভুগছিল ওয়াকচাকু পাড়ার বাসিন্দারা। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এখন ১৩৪ জন স্কুলশিক্ষার্থীসহ মোট ৪১৭ জন স্থানীয় বাসিন্দা সারা বছর নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানির সুবিধা পাচ্ছেন।
প্রকল্পের আওতায় স্থাপন করা হয়েছে দুটি ৫,০০০ লিটার ধারণক্ষমতার রিজার্ভার এবং ২,৫০০ ফুট দীর্ঘ পাইপলাইন, যা পাহাড়ি ঢাল অতিক্রম করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করেছে। এতে প্রাকৃতিকভাবে পানি পরিশোধন হয় এবং বর্ষাকালেও সরবরাহ নির্বিঘ্ন থাকে।
এখন আর বাসিন্দাদের ১,৫০০ ফুট উঁচু পাহাড়ে উঠে অনিরাপদ উৎস থেকে পানি আনতে হয় না। সময় বাঁচে প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত, যা তারা শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও গৃহস্থালি কাজে ব্যয় করতে পারছেন। পাশাপাশি ডায়রিয়া, টাইফয়েড, কলেরা ও আমাশয়ের মতো পানিবাহিত রোগের ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।
রবি আজিয়াটা পিএলসির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা শুধু মৌলিক চাহিদা নয়; এটি স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের ভিত্তি। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রবি।
গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ ফাহমি বলেন, সৃজনশীল প্রকৌশল সমাধান ও স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে আমরা এমন এক টেকসই পানি ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি, যা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।
এই প্রকল্প জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)–এর সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ এবং বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন লক্ষ্যের সাথে সরাসরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে রবির এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি অনুকরণীয় উদাহরণ।
চৌধুরী মোঃ সুজন : স্টাফ রিপোর্টার 



















