
পাবনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল এখন যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালের চারপাশে এত পরিমাণ ময়লা-আবর্জনা জমে রয়েছে যে, সেখান থেকে নির্গত দুর্গন্ধে হাসপাতালে প্রবেশ করাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
চারদিক জুড়ে পচা বর্জ্য ও ময়লার স্তূপে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য মাছি, মশা ও বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ। এসব জীবাণুবাহী পোকামাকড় হাসপাতালের পরিবেশকে আরও নোংরা করে তুলছে এবং রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, দুর্গন্ধ ও মাছির উপদ্রবে তারা নাজেহাল হয়ে পড়েছেন। কেউ ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না, আবার কেউ খাবার মুখে তুলতে পারছেন না দুর্গন্ধের কারণে। অনেকেই বলছেন, চিকিৎসা নিতে এসে উল্টো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারা।
একজন রোগীর স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন – “হাসপাতালের ভেতর ও বাইরে যেভাবে ময়লা জমে আছে, মনে হয় এটা হাসপাতাল না, ময়লার ডিপো। রোগ সারাতে এসে আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।”
পরিস্থিতি এমন যে, হাসপাতালের আশেপাশে চলাচল করাই কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে। দুর্গন্ধে নাক চেপে চলতে হচ্ছে দর্শনার্থী ও পথচারীদের।
অন্যদিকে, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম নববানীকে বলেন — ময়লা অপসারণের দায়িত্ব পৌরসভার। কিন্তু তারা ময়লা অপসারণ করছে না তাদেরকে আমরা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেছি ছবি তুলে পাঠিয়েছি এবং কি চিঠি দিয়েছি তবুও তারা ময়লা অপসারণ করছে না ,
কিন্তু পাবনা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ দুলাল উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের বর্জ্য দুই ধরনের – বিপদজনক বর্জ্য ও সাধারণ বর্জ্য। পৌরসভা কেবল সাধারণ বর্জ্য অপসারণ করে, বিপদজনক বর্জ্য পৌরসভা আনতে বাধ্য নয় আইনগতভাবে , তিনি আরো বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি তারা যেন বিপদজনক বর্জ্য এবং সাধারণ বর্জ্য আলাদাভাবে রাখে , এই দায়-দায়িত্বের লড়াইয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ ও রোগীরা। হাসপাতাল ও পৌরসভার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে প্রতিদিন বাড়ছে দূষণ, দুর্গন্ধ ও সংক্রমণের ঝুঁকি।
স্থানীয়দের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করে নিয়মিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি পৌরসভা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করে হাসপাতালের পরিবেশকে স্বাস্থ্যসম্মত করে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
পাবনা প্রতিনিধি : ফজলুল কবির 



















