ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
মিরপুরের কালশী রোডে কমিউনিটি সেন্টারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট ঢাকা-১৮ আসনে ‘সমৃদ্ধ সমাজ’ গড়ার অঙ্গীকার এস এম জাহাঙ্গীরের: বিএনপি’র ৩১ দফা ও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে দক্ষিণখানে উঠান বৈঠক একটি কুচক্রী মহল ধর্মকে ব্যবহার করে ভোটের রাজনীতি করছে – ঈশ্বরদীতে হাবিবুর রহমান হাবিব পাপ্পু সরকার সহ ৭ বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন একটি সুষ্ঠু রাষ্ট্র কাঠামো উপহার পায় : এম কফিল উদ্দিন টঙ্গীতে খতিব নিখোঁজের ঘটনায় ইসকন বিরোধী বিক্ষোভ গাইবান্ধায় ৯ বছরের শিশুকে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ গাইবান্ধায় সেচ পাম্প চালু করতে গিয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রোয়াংছড়িতে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও গণসংযোগ সিরাজগঞ্জে সম্মিলিত প্রয়াস (রায়গঞ্জ-তাড়াশ-সলঙ্গা) সংগঠনের ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

পৌরসভা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায় এড়ানোর খেলায় ভুগছে সাধারণ মানুষ: পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ময়লার ভাগাড়ে পরিণত – দুর্গন্ধে রোগী ও স্বজনদের চরম ভোগান্তি

পাবনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল এখন যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালের চারপাশে এত পরিমাণ ময়লা-আবর্জনা জমে রয়েছে যে, সেখান থেকে নির্গত দুর্গন্ধে হাসপাতালে প্রবেশ করাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

চারদিক জুড়ে পচা বর্জ্য ও ময়লার স্তূপে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য মাছি, মশা ও বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ। এসব জীবাণুবাহী পোকামাকড় হাসপাতালের পরিবেশকে আরও নোংরা করে তুলছে এবং রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, দুর্গন্ধ ও মাছির উপদ্রবে তারা নাজেহাল হয়ে পড়েছেন। কেউ ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না, আবার কেউ খাবার মুখে তুলতে পারছেন না দুর্গন্ধের কারণে। অনেকেই বলছেন, চিকিৎসা নিতে এসে উল্টো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারা।

একজন রোগীর স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন – “হাসপাতালের ভেতর ও বাইরে যেভাবে ময়লা জমে আছে, মনে হয় এটা হাসপাতাল না, ময়লার ডিপো। রোগ সারাতে এসে আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।”

পরিস্থিতি এমন যে, হাসপাতালের আশেপাশে চলাচল করাই কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে। দুর্গন্ধে নাক চেপে চলতে হচ্ছে দর্শনার্থী ও পথচারীদের।

অন্যদিকে, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম নববানীকে বলেন — ময়লা অপসারণের দায়িত্ব পৌরসভার। কিন্তু তারা ময়লা অপসারণ করছে না তাদেরকে আমরা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেছি ছবি তুলে পাঠিয়েছি এবং কি চিঠি দিয়েছি তবুও তারা ময়লা অপসারণ করছে না ,

কিন্তু পাবনা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ দুলাল উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের বর্জ্য দুই ধরনের – বিপদজনক বর্জ্য ও সাধারণ বর্জ্য। পৌরসভা কেবল সাধারণ বর্জ্য অপসারণ করে, বিপদজনক বর্জ্য পৌরসভা আনতে বাধ্য নয় আইনগতভাবে , তিনি আরো বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি তারা যেন বিপদজনক বর্জ্য এবং সাধারণ বর্জ্য আলাদাভাবে রাখে , এই দায়-দায়িত্বের লড়াইয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ ও রোগীরা। হাসপাতাল ও পৌরসভার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে প্রতিদিন বাড়ছে দূষণ, দুর্গন্ধ ও সংক্রমণের ঝুঁকি।

স্থানীয়দের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করে নিয়মিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি পৌরসভা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করে হাসপাতালের পরিবেশকে স্বাস্থ্যসম্মত করে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বার্তা বিভাগ

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

মিরপুরের কালশী রোডে কমিউনিটি সেন্টারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট

পৌরসভা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায় এড়ানোর খেলায় ভুগছে সাধারণ মানুষ: পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ময়লার ভাগাড়ে পরিণত – দুর্গন্ধে রোগী ও স্বজনদের চরম ভোগান্তি

আপডেট সময় ০৭:০৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

পাবনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল এখন যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালের চারপাশে এত পরিমাণ ময়লা-আবর্জনা জমে রয়েছে যে, সেখান থেকে নির্গত দুর্গন্ধে হাসপাতালে প্রবেশ করাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

চারদিক জুড়ে পচা বর্জ্য ও ময়লার স্তূপে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য মাছি, মশা ও বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ। এসব জীবাণুবাহী পোকামাকড় হাসপাতালের পরিবেশকে আরও নোংরা করে তুলছে এবং রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, দুর্গন্ধ ও মাছির উপদ্রবে তারা নাজেহাল হয়ে পড়েছেন। কেউ ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না, আবার কেউ খাবার মুখে তুলতে পারছেন না দুর্গন্ধের কারণে। অনেকেই বলছেন, চিকিৎসা নিতে এসে উল্টো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারা।

একজন রোগীর স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন – “হাসপাতালের ভেতর ও বাইরে যেভাবে ময়লা জমে আছে, মনে হয় এটা হাসপাতাল না, ময়লার ডিপো। রোগ সারাতে এসে আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।”

পরিস্থিতি এমন যে, হাসপাতালের আশেপাশে চলাচল করাই কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে। দুর্গন্ধে নাক চেপে চলতে হচ্ছে দর্শনার্থী ও পথচারীদের।

অন্যদিকে, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম নববানীকে বলেন — ময়লা অপসারণের দায়িত্ব পৌরসভার। কিন্তু তারা ময়লা অপসারণ করছে না তাদেরকে আমরা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেছি ছবি তুলে পাঠিয়েছি এবং কি চিঠি দিয়েছি তবুও তারা ময়লা অপসারণ করছে না ,

কিন্তু পাবনা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ দুলাল উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের বর্জ্য দুই ধরনের – বিপদজনক বর্জ্য ও সাধারণ বর্জ্য। পৌরসভা কেবল সাধারণ বর্জ্য অপসারণ করে, বিপদজনক বর্জ্য পৌরসভা আনতে বাধ্য নয় আইনগতভাবে , তিনি আরো বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি তারা যেন বিপদজনক বর্জ্য এবং সাধারণ বর্জ্য আলাদাভাবে রাখে , এই দায়-দায়িত্বের লড়াইয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ ও রোগীরা। হাসপাতাল ও পৌরসভার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে প্রতিদিন বাড়ছে দূষণ, দুর্গন্ধ ও সংক্রমণের ঝুঁকি।

স্থানীয়দের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করে নিয়মিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি পৌরসভা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করে হাসপাতালের পরিবেশকে স্বাস্থ্যসম্মত করে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।