
নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল খান রেজার বিরুদ্ধে মার্কেট দখল, চাঁদাদাবি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সৈয়দপুর বিসিক শিল্প নগরীর একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা, আমিনুল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডিরেক্টর ও উপজেলা ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বাঙালীপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারে ২০১১ সালে বৈধভাবে জমি ক্রয় করে তিনি “আমিনুল সুপার মার্কেট” প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে তার সার ব্যবসার দোকান ও গোডাউনসহ ভাড়ায় দেয়া দোকান রয়েছে। তবে সম্প্রতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল খান রেজা সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে এসে মার্কেটের একটি দোকানের দেয়াল ভেঙে দখল করে নেয় এবং খালি জায়গা টিন দিয়ে ঘিরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এসময় বাধা দিতে গেলে তাকে লাঠিপেটার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও দখলদাররা তাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে। যদিও পুলিশের হস্তক্ষেপে সার গোডাউন আংশিক দখলমুক্ত হয়, তবে পুরো মার্কেট ছেড়ে দিতে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন শিল্পপতি আমিনুল।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান কার্জনের কাছে বিচার চাইলে তিনি উল্টে রেজাউল খান রেজার পক্ষ নিয়ে মার্কেটের মূল গেটে ইউনিয়ন বিএনপি অফিসের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দখল পাকাপোক্ত করেন। এমনকি সারের বস্তা সরিয়ে নেয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
শিল্পপতি আমিনুল বলেন, “আমি ছাত্রজীবন থেকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সমর্থক। অথচ এখন বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কিছু দুষ্কৃতকারী আমার সম্পত্তি দখল ও চাঁদাবাজি করছে। এতে দলের বদনাম হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।”
তিনি প্রশাসন ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, “এভাবে অবৈধ কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে শিল্পপতিরা স্বাচ্ছন্দ্যে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন না, আর সাধারণ জনগণও ভোগান্তির শিকার হবেন।”
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ন্যায়বিচারের দাবি জানান।