
মো. সোহেল মিয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক:
সংগঠকদের চাঙ্গা করা ও নতুন রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছে দিতে ঢাকা মহানগর উত্তরের থানা সংগঠকদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মশালার আয়োজন করলো আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। কর্মশালা শেষে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ গানের অনুষ্ঠান।
শুক্রবার, অক্টোবর ০৩, ২০২৫ রাজধানীর উত্তরা ৭ নং সেক্টরের টাইম পার্টি সেন্টারে এই দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)-এর চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মনজু। তিনি তাঁর বক্তব্যে সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “এবি পার্টির রাজনীতি কোনো গতানুগতিক ক্ষমতার লড়াই নয়, এটি জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের রাজনীতি। আপনাদেরকে জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। জনগণের আস্থা ও সমর্থনই আমাদের মূল শক্তি।” তিনি কর্মীদের সততা, স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নোমান। তিনি বলেন, “দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবি পার্টি একটি কার্যকর বিকল্প শক্তি হিসেবে উঠে আসছে। এই উত্থানকে স্থায়ী করতে হলে সাংগঠনিক শক্তিকে আরও মজবুত করতে হবে। প্রতিটি সংগঠককে দলের আদর্শ ও লক্ষ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।”
ঢাকা মহানগর উত্তর এবি পার্টির আহবায়ক সেলিম খানের সভাপতিত্বে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, “ঢাকা মহানগর উত্তরকে আমরা মডেল সাংগঠনিক ইউনিট হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। প্রতিটি থানায় দ্রুততার সাথে কার্যক্রম বিস্তৃত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।” অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন দলের সদস্য সচিব সামিউল ইসলাম সবুজ।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রব জামিল, যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ কবির, এবং যুগ্ম সদস্য সচিবদের মধ্যে নজরুল ইসলাম, মাসুদুল ইসলাম ও গাজী সাবের। নেতৃবৃন্দ সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কার্যকর জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টির কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
রাজনৈতিক আলোচনার গাম্ভীর্য শেষে সন্ধ্যায় কর্মীদের মাঝে ভিন্ন আমেজ নিয়ে আসে এক মনোজ্ঞ গানের অনুষ্ঠান। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রব জামিলের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এই সাংস্কৃতিক পর্বে কর্মীরা গান পরিবেশন করেন এবং একে অপরের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেন, যা কর্মশালাকে এক বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে শেষ করে।
কর্মশালায় উত্তরার বিভিন্ন থানার বিপুল সংখ্যক সংগঠক অংশগ্রহণ করেন এবং তারা দলের লক্ষ্য বাস্তবায়নে আরও দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।