
বাংলাদেশের বেসরকারি ফার্মাসিটিক্যালস খাতে কর্মরত হাজার হাজার কর্মী দিনরাত পরিশ্রম করলেও পাচ্ছেন না কোনো সরকারি বিধি অনুযায়ী বেতন, ছুটি বা চাকরির নিরাপত্তা। বেতন কাঠামো নির্ধারিত নয়, নেই উৎসব বোনাস, মাতৃত্বকালীন ছুটি কিংবা পেনশন সুবিধা। ফলে এ খাতের কর্মজীবীরা এক অনিশ্চয়তার মধ্যেই ভবিষ্যৎ গড়তে বাধ্য হচ্ছেন।
সরকারি চাকরিজীবীদের মতো সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়মের আওতায় না থাকার ফলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের ইচ্ছানুযায়ী ছাঁটাই ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেক কর্মী। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো কোম্পানিতে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করেও শ্রমিকদের ছুটি বা ওভারটাইম ভাতা দেওয়া হয় না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানিমুখী খাত ফার্মাসিটিক্যালস হলেও কর্মীদের জন্য নেই সুরক্ষিত পরিবেশ ও ন্যায্য অধিকার। এ খাতে সরকারি তদারকি না থাকায় মালিকপক্ষ একতরফাভাবে নিয়ম নির্ধারণ করছে, যা শ্রম আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানির একাধিক কর্মী জানান, চাকরি শুরু করার সময় কোন নিয়োগপত্র দেওয়া হয় না। অনেক সময় কয়েক মাস বেতন বকেয়া থাকে, ছুটি চাইলেই চাকরিচ্যুতির হুমকি। কেউ প্রতিবাদ করলে তার চাকরি টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
এমন বাস্তবতায় খাতটিতে সরকারিভাবে নীতিমালা প্রণয়ন ও তদারকি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন, এই খাতে সুনির্দিষ্ট কর্মনীতি, ন্যায্য বেতন কাঠামো, ছুটি ও চাকরি সুরক্ষা নিশ্চিত না করা হলে ভবিষ্যতে এই সেক্টরের দক্ষ জনবল ঝরে পড়বে এবং খাতটির মান ও উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাবে।