
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) অধীনস্থ গাছা থানার এএসআই আল মামুন মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সাহসী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। একদিকে তার সহাসী নেতৃত্বে মাদক নির্মূল ও সন্ত্রাস দমন অভিযানে তৎপরতা বেড়েছে। অন্যদিকে মামুন সরাসরি মাঠ পর্যায়ে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ঝুঁকিপূর্ণ অভিযান চালিয়ে বেশ আলোচনায় এসেছেন।
মামুন গাছা থানায় যোগদানের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছেন। বিশেষ করে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী একাধিক সফল অভিযান পরিচালনা করে তিনি অপরাধীদের মাঝে ভীতির সৃষ্টি করেছেন। অভিযানে অংশ নিয়ে হামলার শিকারও হয়েছেন তিনি। এ অবস্থায় তাঁকে থানার কার্যক্রম থেকে দূরে সরানোর জন্য একটি কুচক্রী মহল অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর দাবি, মামুনের মতো নিষ্ঠাবান পুলিশের প্রয়োজন পুরো জিএমপি জুড়েই।
অন্যদিকে, গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আল মামুনকে সাম্প্রতিক এক আদেশে বদলি করা হয়েছে। তবে এ বদলির পেছনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে একটি দায়িত্বশীল সূত্র দাবি করেছে। সূত্রটি জানায়, সম্প্রতি নগরীর ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া পাছর পশ্চিমপাড়া এলাকায় মাদকের বড় একটি চালান আসার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এএসআই মামুন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদককারবারিরা পালিয়ে গেলেও, তারা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাতে থাকে।
সূত্রটির দাবি, এই অপপ্রচারই হয়তো বদলির পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে। যদিও গাছা থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, “এটি নিয়মিত বদলির একটি অংশ মাত্র।” এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এএসআই আল মামুন বলেন, “বদলি আমাদের পেশাগত জীবনের অংশ। তবে পরিবার নিয়ে যারা পোস্টিংয়ে থাকি, তাদের ক্ষেত্রে একটু সময় দিয়ে বদলি হলে ভালো হয়। আশা করি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবেন।”
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, একজন নিষ্ঠাবান ও সাহসী পুলিশ কর্মকর্তাকে হঠাৎ বদলি করা হলে মাদকবিরোধী অভিযানের গতি কমে যেতে পারে। তারা আরও বলেন, “যে কর্মকর্তা মাঠে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের সন্তানদের মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন, তাঁকে পুরস্কার দেওয়ার কথা-বদলি নয়।”
জনগণের এই আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠা এএসআই আল মামুনের বদলি আদেশ পুনর্বিবেচনার দাবি উঠেছে সামাজিক ও প্রশাসনিক মহলে। জনগণ মনে করছে, এমন সাহসী, সৎ ও কর্মঠ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি মাদক কারবারিদের চাপে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে সেটি মাদকবিরোধী অভিযানের মনোবল দুর্বল করে দিতে পারে। স্থানীয়রা চান মামুনের মতো কর্মকর্তাদের আরও দায়িত্বশীল পদে রেখে গাজীপুরকে মাদকমুক্ত একটি আদর্শ নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হোক।