
আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তফশিল ঘোষনা না করলেও অর্ন্তবর্তীকালিন সরকারের আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথমার্ধে দেওয়া ঘোষিত নির্বাচনী সময়সীমা অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে বিভিন্ন দল থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দল থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা স্ব স্ব দলের প্রতিক নিয়ে ব্যাপকভাবে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মাঠ পর্যায়ের দলের নেতাকর্মী ও সাধারন ভোটারদের সাথে আলোচনা করে জানা যায়- আসনটি বিএনপির দুর্গ বলে খ্যাত হলেও আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে জয় পরাজয়ের প্রধান ফ্যাক্টর হতে পারে দলীয় দ্বন্ধ। ৩৬ বছর পর দলের সকল পর্যায়ের কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করা হলেও দ্বন্ধের লাগাম টেনে ধরতে পারেননি দলটি। বিএলডিপির নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিমের দলীয় কার্যক্রমে অপ্রত্যাশিত হস্তক্ষেপ, সাম্প্রতিক কমিটি গঠনে নানা অনিয়মের অভিযোগও আসছে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোয়ন প্রত্যাশী দলীয় একাধিক প্রার্থীেদর নিয়ে দু’ভাগে বিভক্ত রয়েছে দলটি। তাঁরা দলীয় কর্মসূচীও পালন করছেন পৃথক পৃথক ভাবে। এতে তৃর্নমুলের কর্মী সমর্থকদের বৃহত্তর অংশ নিস্ক্রিয় রয়েছে । আর এর প্রভাব পড়তে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে।
এ দিকে জামায়াত মাঠ পর্যায়ে সুশৃঙ্খলভাবে দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় রয়েছে। দলটি ৬ মাস আগে সংসদ নির্বাচনের জন্য উপজেলা আমির নাজমুল হাসান পাটোয়ারীকে একক প্রার্থী ঘোষনা করেন। তাঁরা দলীয় প্রার্থীকে বিজয় করতে ,দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁদের দলের প্রতিটি ইউনিট গ্রুপ ভিত্তিক এলাকা এলাকায় প্রতিদিন সভা,সমাবেশ, মিটিং, মিছিল, উঠান বৈঠকসহ দলের প্রার্থীকে বিজয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তাঁরা ধর্মীয়, সামাজিক, মানবিক ও উন্নয়ন মূলক কাজ করে সাধারন মানুষের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা অব্যাহত রাখছেন। এ ছাড়াও পরবর্তিতে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন নির্বাচনে একক প্রার্থী তালিকাও চুড়ান্ত করে তাদেরকে রেখেছেন মাঠ পর্যায়ে সক্রিয়।
নির্বাচনী মাঠে পিছিয়ে নেই ইসলামী আন্দোলন তাঁরাও বিশিষ্ট শিল্পপতি জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে একক প্রার্থী ঘোষনা করে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জাতীয় নাগরিক পাটি (এনসিপি) আনুষ্ঠানিক ভাবে দলীয় প্রার্থী ঘোষনা না করলেও তথ্য উপদ্রেষ্টা মাহফুজ আলম অথবা মাহফুজ আলমের বড় ভাই এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন আহবায়ক মাহবুব আলমকে প্রার্থী করার টার্গেট নিয়ে দলীয় কর্মীসমর্থকরা স্ব স্ব অবস্থান থেকে দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় রয়েছেন।
বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএলডিপি) রামগঞ্জ উপজেলায় কোন কার্যক্রম না থাকলে দলটির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বিএনপি জোট থেকে মনোয়ন পাওয়ার দাবী করে বিএনপির একটি অংশের নেতাকর্মীদেরকে সাথে নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
রাজনীতিক সচেতন মহল মনে করছেন, বিএনপি তাঁদের পরস্পর বিরোধ মিটিয়ে, স্বচ্ছ ইমেজের কর্মীসমর্থকদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় ও নির্বাচনী কার্যক্রমে সক্রিয় হতে হবে। না হয়, আগামী নির্বাচনে আসনটি রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। আর এ সুযোগ নিতে পারে জামায়াত বা তাদের জোটগত প্রার্থী।
দলীয় ও বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা যায়- ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন- ঢাকা মহানগর( দক্ষিন) বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক হারুনুর রশিদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি ইমাম হোসেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হক মজু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি শাহাবুদ্দিন তুর্কি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিম ভিপি, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ জরিুল ইসলাম, সাবেক এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মরহুম জিয়াউল হক জিয়ার ছেলে মুশফিকুর রহমান জয়সহ ১০ জন। এ ছাড়াও নির্বাচনী মাঠে দেখা না গেলেও এবি পাটিসহ আরো কয়েকটি দল তাদের প্রার্থী ঘোষনা করেছেন।
রাজনীতিক সচেতন মহল মনে করছেন, বিএনপি তাঁদের পরস্পর বিরোধ মিটিয়ে, স্বচ্ছ ইমেজের কর্মীসমর্থকদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় ও নির্বাচনী কার্যক্রমে সক্রিয় হতে হবে। না হয়, আগামী নির্বাচনে আসনটি রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। আর এ সুযোগ নিতে পারে জামায়াত বা তাদের জোটগত প্রার্থী।
মোহাম্মদ আলী, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : 


















