ঢাকা ০৭:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক নির্বাচনী সমাবেশ  সম্পন্ন উখিয়া উপজেলা কৃষক দলের ৫ টি সাংগঠনিক ইউনিয়নের সম্মেলন ও কাউন্সিল ‘২৫ সম্পন্ন নারী নির্যাতন মামলার আসামি প্রকাশ্যে ঘুরলেও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামাল নিরব কেন? গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্টের নাগরিকত্ব বাতিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তরুণদল সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে ভোজ্যতেলের নিরাপদতা ও পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণে কর্মশালা অনুষ্ঠিত শাহজাদপুরে বিএনপি নেতা প্রফসর ড. এমএ মুহিতের সৌজন্যে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ছানি অপারেশন: “মানুষের পাশে, মানবতার পথে, এক স্বপ্ন, এক নাম” – প্রফেসর ড. এমএ মুহিত ভালুকায় ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চুর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে শুভেচ্ছা মিছিল চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকন বিলাইছড়িতে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ উপলক্ষে অবহিতকরণ সভা।

বিচারহীনতার বলি: ৩০ বছর পর মুক্ত কনু মিয়া

দীর্ঘ ৩০ বছর দুই মাস ১৯ দিন হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে বন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন কনু মিয়া। হত্যা মামলায় বিচার বা সাজা কোনোটিই হয়নি তার; কেবল একটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে মানসিক ভারসাম্যহীন এই ব্যক্তি কারাগারেই কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের অনেকটা সময়। সরকারি আইনি সহায়তা সংস্থা (লিগ্যাল এইড) এর হস্তক্ষেপে তিনি আলোর মুখ দেখলেন।

কনু মিয়া হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সিংহগ্রামের মৃত চিনি মিয়ার ছেলে। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে একটি হত্যা মামলার ঘটনায় তাকে আটক করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, সেই সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি একটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন, যা তার দীর্ঘ কারাবাসের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

জানা যায়, মামলার দীর্ঘসূত্রিতা এবং কনু মিয়ার মানসিক অসুস্থতার কারণে তার বিচার প্রক্রিয়া কার্যত থমকে ছিল। বছরের পর বছর তিনি কারাগারেই ছিলেন, যেখানে তার মানসিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি, বরং আরও অবনতি ঘটেছিল। তার পরিবারের পক্ষ থেকেও তাকে মুক্ত করার তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়নি, সম্ভবত আর্থিক অসচ্ছলতা এবং আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে।

সম্প্রতি সরকারি আইনি সহায়তা সংস্থার নজরে আসে কনু মিয়ার বিষয়টি। তারা তার দীর্ঘ কারাবাসের কারণ অনুসন্ধান এবং আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর, আজ হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

কনু মিয়ার মুক্তি বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা এবং মানসিক অসুস্থতায় ভোগা ব্যক্তিদের আইনি অধিকার সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। একই সাথে, সরকারি আইনি সহায়তা সংস্থার এমন পদক্ষেপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা দেশের বিচারপ্রার্থীদের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক নির্বাচনী সমাবেশ  সম্পন্ন

বিচারহীনতার বলি: ৩০ বছর পর মুক্ত কনু মিয়া

আপডেট সময় ০২:৩২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

দীর্ঘ ৩০ বছর দুই মাস ১৯ দিন হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে বন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন কনু মিয়া। হত্যা মামলায় বিচার বা সাজা কোনোটিই হয়নি তার; কেবল একটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে মানসিক ভারসাম্যহীন এই ব্যক্তি কারাগারেই কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের অনেকটা সময়। সরকারি আইনি সহায়তা সংস্থা (লিগ্যাল এইড) এর হস্তক্ষেপে তিনি আলোর মুখ দেখলেন।

কনু মিয়া হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সিংহগ্রামের মৃত চিনি মিয়ার ছেলে। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে একটি হত্যা মামলার ঘটনায় তাকে আটক করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, সেই সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি একটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন, যা তার দীর্ঘ কারাবাসের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

জানা যায়, মামলার দীর্ঘসূত্রিতা এবং কনু মিয়ার মানসিক অসুস্থতার কারণে তার বিচার প্রক্রিয়া কার্যত থমকে ছিল। বছরের পর বছর তিনি কারাগারেই ছিলেন, যেখানে তার মানসিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি, বরং আরও অবনতি ঘটেছিল। তার পরিবারের পক্ষ থেকেও তাকে মুক্ত করার তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়নি, সম্ভবত আর্থিক অসচ্ছলতা এবং আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে।

সম্প্রতি সরকারি আইনি সহায়তা সংস্থার নজরে আসে কনু মিয়ার বিষয়টি। তারা তার দীর্ঘ কারাবাসের কারণ অনুসন্ধান এবং আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর, আজ হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

কনু মিয়ার মুক্তি বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা এবং মানসিক অসুস্থতায় ভোগা ব্যক্তিদের আইনি অধিকার সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। একই সাথে, সরকারি আইনি সহায়তা সংস্থার এমন পদক্ষেপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা দেশের বিচারপ্রার্থীদের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে।