
বিজ্ঞানের উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে, নীলফামারীতে হারিয়ে যাচ্ছে গরুর হাল।
একটা সময় জমি চাষাবাদের জন্য নির্ভরযোগ্য হলেও এটির ব্যবহার নেই বললেও চলে। তবে জেলার কিছু আংশিক পরিবার ধরে আছে ঐতিহ্যের গৌরব এসব গরুর হাল।
সরজমিনে এই হালের সম্পর্কে জানতে চাইলে আলতাফ মিয়া দৈনিক নববাণী জেলা প্রতিনিধিকে জানান, দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে তিনি এই হাল দিয়ে নিজের চাষাবাদ সহ আশপাশের লোকজনের জমি চাষ করেন। তিনি প্রতি বিঘায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা নেন।
তিনি অশ্রুসিক্ত ভাষায় বিগত দিনের কথা তুলে ধরেন, একটা সময় পরিবারের আয়ের উপার্জন হিসেবে ছিল তার গরুর হাল। প্রতিনিয়ত দুই থেকে চার বিঘা জমি চাষ করতেন। শীতের দিনে ঘন কুয়াশায় হাল চাষের বিষয়ে কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা একসাথে তিনজন মিলে হাল চাষ করতাম, ক্লান্তি ছিল না, হাল চাষের ফাঁকে ফাঁকে কেউ ভাওয়াইয়া গান, কেউবা হাসির গল্প, কেউবা পারিবারিক কাহিনি বলতেন। কিন্তু এখন আর সেইদিন গুলো নেই।
একই এলাকার দেলা মিয়া বলেন, ট্রাকটর, কলের হালের চাষাবাদ তার পছন্দনীয় হয় না, তিনি সেই অতীত দিনের কথা তুলে ধরেন, একই গরু দিয়ে জমি চাষাবাদ এবং সেইসব গরু দিয়ে গরু গাড়ি চালিয়ে গ্রামের এক প্রান্তর থেকে অন্য প্রান্তর বিভিন্ন সরাঞ্জম নিয়ে আসা,বিয়ের বাড়ি যেতেন। এখন আর সেই গরুর হালের চাহিদা হাড়িয়ে গিয়েছে।
সেলিম রেজা : নীলফামারী 



















