ঢাকা ০৫:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, বাজারে ভোজ্যতেলের কোন ঘাটতি নেই।

রাজশাহীতে ভোজ্যতেলের ‘কৃত্রিম সংকট’ নিরসনে করণীয় বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

রাজশাহীতে ভোজ্যতেলের ‘কৃত্রিম সংকট’ নিরসনে করণীয় বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, রাজশাহী বেনেতি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেকেন্দার আলী, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুদ আলী, টিসিবির অফিস প্রধান শাহিদুল ইসলাম, কৃষি বিপণন অধিদফতরের জেলা বাজার কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ারা হোসেন, রাজশাহী সিটি গ্ৰুপের পরিবেশক নূর মোহাম্মদ, রাজশাহী পরিবেশক সমিতির অর্থ সম্পাদক মোঃ শামসুজ্জামান প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, বাজারে ভোজ্যতেলের কোন ঘাটতি নেই। গত এক সপ্তাহ থেকে তেলের দাম অনেক বেশি। পণ্যের সাপ্লাই ও ডিমান্ডের উপর বাজারের দাম নির্ধারণ করে থাকে। ডিলারদের কারসাজিতে বাজারে সয়াবিন তেলের ‘কৃত্রিম সংকট’ তৈরি হয়েছে। তেলের দাম বাড়বে- এই আশায় মজুদ করে রাখছেন অনেক ব্যবসায়ী, আর মজুদ করে রাখা ঠেকাতে গত কয়েকদিন ধরেই মহানগরীসহ রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে রাজশাহী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। রোববার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে। চিন্তার কোন কারণ নেই, রাজশাহীতে তিন মাসের ভোজ্যতেলের মজুদ রয়েছে।
ভোজ্যতেলের কোন ঘাটতি না থাকলেও তেলের দাম বৃদ্ধি বিষয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, সয়াবিন মিলার, আমদানিকারক কোম্পানি এবং পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা মিলে তেল মজুদ করে রাখার কারণেই মূলত খুচরা পর্যায়ে তেলের কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। অধিক মুনাফার আশায় অনেক ব্যবসায়ী তেল বাজারে ছাড়ছেন না। ফলে বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল নগরীর হাদির মোড়ের ‘শাহাবুদ্দিন স্টোর’ নামের এক দোকান মালিক জুয়েলের বাড়ি থেকে ৮০০ লিটার সয়াবিন তেল পাওয়ায় ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল আরো বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে রমজান মাসকে সামনে রেখে সরকার সারাদেশে ১ কোটি মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে তেল, চিনি, ছোলা, ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করবে। সেই লক্ষ্যে রাজশাহীতে মোট ২ লাখ পরিবারকে ইতোমধ্যে ফ্যামেলি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি। তাই তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানে সংবাদ কর্মী আসমত হোসনকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেন পৌর বিএনপি নেতা আলী

জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, বাজারে ভোজ্যতেলের কোন ঘাটতি নেই।

রাজশাহীতে ভোজ্যতেলের ‘কৃত্রিম সংকট’ নিরসনে করণীয় বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ১১:৪৫:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২
রাজশাহীতে ভোজ্যতেলের ‘কৃত্রিম সংকট’ নিরসনে করণীয় বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, রাজশাহী বেনেতি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেকেন্দার আলী, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুদ আলী, টিসিবির অফিস প্রধান শাহিদুল ইসলাম, কৃষি বিপণন অধিদফতরের জেলা বাজার কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ারা হোসেন, রাজশাহী সিটি গ্ৰুপের পরিবেশক নূর মোহাম্মদ, রাজশাহী পরিবেশক সমিতির অর্থ সম্পাদক মোঃ শামসুজ্জামান প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, বাজারে ভোজ্যতেলের কোন ঘাটতি নেই। গত এক সপ্তাহ থেকে তেলের দাম অনেক বেশি। পণ্যের সাপ্লাই ও ডিমান্ডের উপর বাজারের দাম নির্ধারণ করে থাকে। ডিলারদের কারসাজিতে বাজারে সয়াবিন তেলের ‘কৃত্রিম সংকট’ তৈরি হয়েছে। তেলের দাম বাড়বে- এই আশায় মজুদ করে রাখছেন অনেক ব্যবসায়ী, আর মজুদ করে রাখা ঠেকাতে গত কয়েকদিন ধরেই মহানগরীসহ রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে রাজশাহী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। রোববার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে। চিন্তার কোন কারণ নেই, রাজশাহীতে তিন মাসের ভোজ্যতেলের মজুদ রয়েছে।
ভোজ্যতেলের কোন ঘাটতি না থাকলেও তেলের দাম বৃদ্ধি বিষয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, সয়াবিন মিলার, আমদানিকারক কোম্পানি এবং পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা মিলে তেল মজুদ করে রাখার কারণেই মূলত খুচরা পর্যায়ে তেলের কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। অধিক মুনাফার আশায় অনেক ব্যবসায়ী তেল বাজারে ছাড়ছেন না। ফলে বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল নগরীর হাদির মোড়ের ‘শাহাবুদ্দিন স্টোর’ নামের এক দোকান মালিক জুয়েলের বাড়ি থেকে ৮০০ লিটার সয়াবিন তেল পাওয়ায় ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল আরো বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে রমজান মাসকে সামনে রেখে সরকার সারাদেশে ১ কোটি মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে তেল, চিনি, ছোলা, ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করবে। সেই লক্ষ্যে রাজশাহীতে মোট ২ লাখ পরিবারকে ইতোমধ্যে ফ্যামেলি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি। তাই তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।