সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা–সন্তানসহ দুইজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও চারজন। শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের দয়ামীর বাজার এলাকার নোমান ফার্নিচার অ্যান্ড স’মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেটগামী একটি প্রাইভেটকার (রেজি: ঢাকা মেট্রো–গ–১২–৪৮৫৫) ও হবিগঞ্জগামী ‘হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস’ বিরতিহীন যাত্রীবাহী বাস (রেজি: ঢাকা মেট্রো–ব–১৪–৪৬৪৭) এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ দুমড়ে–মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারে থাকা দুই যাত্রী নিহত হন এবং আরও চারজন গুরুতর আহত হন।
নিহতরা হলেন—
১. মো. হারুন মিয়া (৩২), পিতা মো. শফিক মিয়া
২. আনিসা (৮), পিতা মো. হারুন মিয়া
দু’জনের বাড়িই ওসমানীনগর উপজেলার মজিদপুর গ্রামে।
আহতরা হলেন—
মুন্নী (২৩), রহিমা (২৬), পান্না (৩০) — সবার পিতা মো. শফিক মিয়া, সাং মজিদপুর, ওসমানীনগর, সিলেট;
এবং বেলাল আহমেদ মুকিত (৩৭), পিতা নাসির আলী, সাং ইনাতগঞ্জ, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। দুর্ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশ বাস ও প্রাইভেটকার দুটি জব্দ করে।
দুর্ঘটনার কারণে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটলেও পরবর্তীতে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ও ওসমানীনগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোনায়েম মিয়া বলেন,
“দুর্ঘটনায় প্রাইভেটকারে থাকা দুইজন নিহত হয়েছেন এবং চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সড়ক চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”
সুবল চন্দ্র দাস, ওসমানীনগর (সিলেট) : 



















