
গাজীপুর মহানগরের লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। সবজিসহ চাল, ডাল, তেলের বাজার বেসামাল হয়ে উঠেছে।
গত কয়েকমাস ধরে বাজারে শুধুমাত্র পেঁপে, গোল আলু ছাড়া সব ধরনের পণ্যই হতদরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয় সীমার বাইরে চলে গেছে। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন খেটে খাওয়া স্বল্প আয়ের মানুষেরা। প্রতিদিন বাজারে, বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এ চিত্র দেখা গেছে গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকার বাজার গুলোতে।
ক্রেতারা বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় চাল, ডাল, তেল, মশলা, আলু, মরিচ, পেঁয়াজ, শাক ও সবজিসহ ডিম, মাছ, মাংসের দাম বেড়েছে। এতে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে। অবশেষে কাথোরা ক্ষুদ্র কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. আশরাফ হোসেন, মার্কেট মালিক ও গ্রামবাসীর উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করায়, স্বস্তি মিলেছে স্বল্প আয়ের মানুষের। খুচরা বাজারের থেকে এ পণ্য কম দামে পেয়ে প্রথম দিনেই ক্রেতাদের মাঝে সাড়া ফেলেছে।
গত বুধবার ১২ নভেম্বর ২০২৫ ইং গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা, ৩৬ নং ওয়ার্ড কাথোরা আর রহমান মার্কেটে ন্যায্যমূল্যের কাঁচাবাজারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রয়, বিক্রয় দোকান চালু করা হয়। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ন্যায্যমূল্যের দোকানে পণ্য কিনতে ভিড় করছেন স্বল্প আয়ের মানুষেরা।
এই ন্যায্যমূল্যের দোকানে আলু প্রতি কেজি ২০ টাকা, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ টাকা, রসুন প্রতি কেজি ৬০/১৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, আদা ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৫০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, করোলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা। ফুলকপি ২ পিছ ৫০ টাকা, বাঁধাকপি (ছোট) প্রতি পিস ৩০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পটোল প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কাঁচাকলা প্রতি হালি ৩০ টাকা, টমেটো (পাকা) প্রতি কেজি১১০ টাকা, টমেটো (কাঁচা) প্রতি কেজি ৪০ টাকা, বেগুন (কালো) প্রতি কেজি ৪০ টাকা, বেগুন (সাদা) প্রতি কেজি ৭০ টাকা, লাউ প্রতি পিছ ৩০/৬০ টাকা। লেবু প্রতি হালি ২০ টাকা,ধন্দুল প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকা। কচুরমুখি প্রতি কেজি ৫০ টাকা। কচুরলতি প্রতি কেজি ৭০ টাকা। চালকুমড়া প্রতি পিস ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ২০ টাকা, পাওয়া যাচ্ছে।
ন্যায্যমূল্যের দোকানে চাল, তেল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় আরও পণ্য যুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা। জয় বিজয় নামে এক ক্রেতা বলেন, ন্যায্যমূল্যের দোকান থেকে আমি আলু, পেঁয়াজ, ফুলকপি, কাঁচা মরিচ, পটোল, শিম, বেগুন, শসা, টমেটো নিয়েছি, সবমিলে হিসাব করে দেখলাম বাজারের দামের চাইতে ন্যায্যমূল্যের দোকান থেকে পণ্য কিনে ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কম লেগেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ন্যায্যমূল্যের এই দোকানে প্রয়োজনীয় আরও কিছু পণ্য যুক্ত করাসহ দোকানটি স্থায়ী করা হলে স্বল্প আয়ের মানুষেরা উপকৃত হবেন। এভাবে যদি বাজার বিভিন্ন এলাকায় বসানো যায়, তাহলে বাজারেরর মূল্য সিন্ডিকেটের অধঃপতন ঘটবে। কারণ এ বাজারে টাটকা সবজি খুচরা বাজারের থেকে অনেক কম দামেই মিলেছে।
মার্কেটের মালিক আব্দুর রহমান বলেন, স্বল্পআয়ের মানুষের দিক-বিবেচনা করে ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করেছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী দোকানে আরও কিছু পণ্য যুক্ত করার পরিকল্পনা তাদের থাকে, তাহলে আমি আরো জায়গায় ব্যবস্থা করে দিবো।
কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা দৈনিক নববাণীকে বলেন, জনগণ (ক্রেতা) যতদিন চাইবে এই ন্যায্যমূল্যের দোকান ততদিন থাকবে। এছাড়াও এ মার্কেটে মোদি-মনোহরদী কনফেকশনারি, ইলেকট্রনিক্স, টিভি, ইলেকট্রিক, আইপিএস, গ্যাসের চুলা, গ্যাসের বোটল, ব্যাটারি, ব্যাটারি, পানিসহ বিভিন্ন মালামাল পাওয়া যায়।
মো. নজরুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি : 



















