
নীলফামারীর ডিমলায় দীর্ঘদিনের যাতায়াতের রাস্তায় প্রাচীর তুলে বন্ধ করে দেওয়ায় ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. জহরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে ডিমলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়ায় (প্রফেসর পাড়া) তাঁর নিজ বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, এলাকার একটি কুচক্রী মহলের চক্রান্তে মৃত ক্ষিতীশ চন্দ্র রায়ের পুত্র দীপক কুমার রায় গং প্রভাব খাটিয়ে চলাচলের রাস্তাটি মাত্র দুই ফিট রেখে দেয়াল তুলে বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে পিছনের কয়েকটি পরিবার কার্যত গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, দীপক কুমার গং জমি বিক্রির সময় চলাচলের জন্য ১০ ফিট রাস্তা রাখার কথা বলে জমি বিক্রি করেছিলেন এবং এ ব্যাপারে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি চুক্তিও সম্পাদন করেছিলেন। কিন্তু এখন তাঁরা রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করছেন। প্রশাসনের কাছে গিয়েও প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে এলাকায় চরম অস্থিরতা ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে জহরুল ইসলাম বলেন, তিনি ১২ বছর আগে দীপক কুমার গং-এর কাছে জমি কিনে প্রাচীর দিয়ে বাড়ি করে বসবাস করছেন। সম্প্রতি তিনি তাঁর ক্রয়কৃত জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য ভিত্তি স্থাপন করলে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় দীপক কুমার তাঁর কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দীপক কুমার হুমকি দেন এবং পরে সীমানা প্রাচীরের সাথে ১৫ ফিট গভীর গর্ত করেন। এর ফলে গত ২০/৮/২০২৫ তারিখে তাঁর সীমানা প্রাচীর ভেঙে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
তিনি আরও জানান, গত ১০/৮/২০২৫ তারিখে প্রাচীরটি পুনরায় নির্মাণের জন্য মিস্ত্রি লাগালে দীপক কুমার সাত থেকে আট জন লোক নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে নির্মাণে বাধা প্রদান করেন এবং তাঁকে মারতে উদ্ধত হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তিনি সেখান থেকে সরে আসেন। পরে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে গত ১০/১০/২০২৫ তারিখে ডিমলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৮/১১/২০২৫ তারিখে চলাচলের রাস্তার ওপর ইটের প্রাচীর তৈরি করে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, তাঁকে সহ কয়েকটি পরিবারকে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে জিম্মি করে তাদের হীনউদ্দেশ্য চরিতার্থ করার প্রচেষ্টা চলছে। তিনি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন, যেন বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে রাস্তাটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে পরিবারগুলোকে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করা হয়।
মো. বাদশা প্রামানিক, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : 


















