ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
সারা দেশের ন্যায় মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে এনসিপি থেকে মনোনয়ন নিলেন ভাইরাল সেই রিকশাচালক সুজন ধুনটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড : শর্ট সার্কিটে ছয় ঘর ভস্মীভূত, নিঃস্ব তিন ভাই কালিয়াকৈরে ওয়ার্কশপে গ্যাস বিস্ফোরণ; দগ্ধ ৪, দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া মিয়াজীর নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডিমলায় চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে কয়েকটি পরিবারকে জিম্মি করার অভিযোগ; প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ভবন সংকটে থমকে গেছে ‘দুবলাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ পাঠদান কার্যক্রম সাতকানিয়ায় ছদ্মবেশে পাহাড় থেকে ডাকাত গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা ৬ ইউপি সদস্যের নীলফামারীতে ট্রাকের চাপায় ২য় শ্রেণির ছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু

অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ৩১ কোটি টাকার ঋণ আত্মসাৎ: সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ৪ মামলা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৪২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • ৪৯ বার পড়া হয়েছে

অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ব্যাংক ঋণ নেওয়ার নামে ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তাঁর স্ত্রী ইউসিবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমিলা জামানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রথম মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মশিউর রহমান।
৯ কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলার বাদী সহকারী পরিচালক মো. মাইনুদ্দিন আহমেদ।
৫ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলার বাদী উপসহকারী পরিচালক মো. সজীব আহমেদ,
এবং ৮ কোটি ৫০ লাখ ২৯ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলার বাদী উপসহকারী পরিচালক মো. রুবেল হোসেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ইউসিবি পিএলসি’র এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য ও সাবেক পরিচালক বশির আহমেদের প্রতিষ্ঠান বি অ্যান্ড বি ইলেকট্রনিক্সের কর্মচারী মোস্তাফিজুর রহমান এবং সিন্ডিকেট সদস্য মো. আবুল কালামের সহায়তায় গ্রামের কৃষক ও শ্রমিক নুরুল বশর, মোহাম্মদ আয়ুব, মো. ইউনুছ ও মো. ফরিদুল আলমের ব্যক্তিগত তথ্য (এনআইডি, ছবি ইত্যাদি) সংগ্রহ করে তা ব্যবহার করে ব্যাংক ঋণ অনুমোদন করান।

অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক হিসাব খুলে ওই ঋণ অনুমোদন করিয়ে ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তাঁর স্ত্রী রুকমিলা জামান,
ইউসিবিএল ও ইউসিবি পিএলসি’র এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য ও সাবেক পরিচালক বশির আহমেদ,
এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক পরিচালক আনিসুজ্জামান চৌধুরী,
এভিপি ও অপারেশন ম্যানেজার মো. আব্দুল আউয়াল,
এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. আবু বকর খান,
সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার জামাল উদ্দিন,
এভিপি জিয়াউল করিম খান এবং শাখা প্রধান মো. জাহিদ হায়দার।

এছাড়া আরামিট পিএলসি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মিছাবাহুল আলম (মডেল ট্রেডিং),
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (ক্লাসিক ট্রেডিং),
প্রদীপ কুমার বিশ্বাস (আলোক ইন্টারন্যাশনাল),
মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (বি অ্যান্ড বি ইলেকট্রনিক্স) এবং দিদারুল আলমকেও আসামি করা হয়েছে।

একই সঙ্গে ইউসিবিএল ও ইউসিবি পিএলসি’র এক্সিকিউটিভ কমিটির আরও কয়েকজন সাবেক পরিচালক—
বজল আহমেদ বাবুল (সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান),
এম এ সবুর,
ইউনুছ আহমদ,
নুরুল ইসলাম চৌধুরী ও আসিফুজ্জামান চৌধুরী—এর নামও মামলার আসামি তালিকায় রয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৪০৬, ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারা,
দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২)(৩) ধারা অনুযায়ী অভিযোগ আনা হয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বার্তা বিভাগ

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

সারা দেশের ন্যায় মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে

অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ৩১ কোটি টাকার ঋণ আত্মসাৎ: সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ৪ মামলা

আপডেট সময় ০৬:৪২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ব্যাংক ঋণ নেওয়ার নামে ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তাঁর স্ত্রী ইউসিবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমিলা জামানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রথম মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মশিউর রহমান।
৯ কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলার বাদী সহকারী পরিচালক মো. মাইনুদ্দিন আহমেদ।
৫ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলার বাদী উপসহকারী পরিচালক মো. সজীব আহমেদ,
এবং ৮ কোটি ৫০ লাখ ২৯ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলার বাদী উপসহকারী পরিচালক মো. রুবেল হোসেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ইউসিবি পিএলসি’র এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য ও সাবেক পরিচালক বশির আহমেদের প্রতিষ্ঠান বি অ্যান্ড বি ইলেকট্রনিক্সের কর্মচারী মোস্তাফিজুর রহমান এবং সিন্ডিকেট সদস্য মো. আবুল কালামের সহায়তায় গ্রামের কৃষক ও শ্রমিক নুরুল বশর, মোহাম্মদ আয়ুব, মো. ইউনুছ ও মো. ফরিদুল আলমের ব্যক্তিগত তথ্য (এনআইডি, ছবি ইত্যাদি) সংগ্রহ করে তা ব্যবহার করে ব্যাংক ঋণ অনুমোদন করান।

অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক হিসাব খুলে ওই ঋণ অনুমোদন করিয়ে ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তাঁর স্ত্রী রুকমিলা জামান,
ইউসিবিএল ও ইউসিবি পিএলসি’র এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য ও সাবেক পরিচালক বশির আহমেদ,
এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক পরিচালক আনিসুজ্জামান চৌধুরী,
এভিপি ও অপারেশন ম্যানেজার মো. আব্দুল আউয়াল,
এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. আবু বকর খান,
সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার জামাল উদ্দিন,
এভিপি জিয়াউল করিম খান এবং শাখা প্রধান মো. জাহিদ হায়দার।

এছাড়া আরামিট পিএলসি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মিছাবাহুল আলম (মডেল ট্রেডিং),
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (ক্লাসিক ট্রেডিং),
প্রদীপ কুমার বিশ্বাস (আলোক ইন্টারন্যাশনাল),
মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (বি অ্যান্ড বি ইলেকট্রনিক্স) এবং দিদারুল আলমকেও আসামি করা হয়েছে।

একই সঙ্গে ইউসিবিএল ও ইউসিবি পিএলসি’র এক্সিকিউটিভ কমিটির আরও কয়েকজন সাবেক পরিচালক—
বজল আহমেদ বাবুল (সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান),
এম এ সবুর,
ইউনুছ আহমদ,
নুরুল ইসলাম চৌধুরী ও আসিফুজ্জামান চৌধুরী—এর নামও মামলার আসামি তালিকায় রয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৪০৬, ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারা,
দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২)(৩) ধারা অনুযায়ী অভিযোগ আনা হয়েছে।