ঢাকা ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
মিশরের সীমান্ত এলাকা বন্ধ ঘোষণা করলো ইসরাইল চাদে পানি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩৩ প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকেই জুলাই সনদ নিতে চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ জকসু নির্বাচনের তারিখ ২২ ডিসেম্বর চূড়ান্ত সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংক একীভূতকরণে শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিপূরণ পাবেন : বাংলাদেশ ব্যাংক গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিশ্চিত করতে ‘গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুমোদন ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর: সিপাহী-জনতার বিপ্লব ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রথমবারের মতো ৪৮ দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের জন্য নতুন জার্সি প্রকাশ করলো অ্যাডিডাস: আর্জেন্টিনাসহ ২২ দেশের ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন পীরগঞ্জে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ, আলোচনায় ‘ঢাকা বিরিয়ানি হাউজ’ সলঙ্গা হেরোইনসহ ২ মাদক কারবারি আটক

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লেখা হয়েছিল: অ্যাটর্নি জেনারেল

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লেখা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন থেকে সৃষ্ট আপিলের শুনানিতে বুধবার তিনি এ মন্তব্য করেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লেখা হয়েছিল একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। পরবর্তীতে কোনো রিভিউ ছাড়াই সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক আদালতে ঘোষিত রায় পরিবর্তন করেছেন, যা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা গণতন্ত্র চাই—গণতন্ত্রের নামে কোনো লেবাস চাই না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের তিন বছর পরই আমাদের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল।”

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চে এদিন অষ্টম দিনের শুনানি শেষে আদালত আগামীকাল রাষ্ট্রপক্ষের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

এর আগে বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, জামায়াতে ইসলামী’র পক্ষে শুনানি শেষ করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূইয়া।

উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

২০১১ সালের ১০ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে। পরবর্তীতে ওই রায়ের ভিত্তিতে ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন, যার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয়।

পরে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ও একজন ব্যক্তি রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। গত ২৭ আগস্ট আপিল বিভাগের বেঞ্চ তাদের লিভ মঞ্জুর করে ২১ অক্টোবর থেকে আপিল শুনানির দিন নির্ধারণ করে।

এছাড়া, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে বাতিলের রায় দেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বার্তা বিভাগ

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

মিশরের সীমান্ত এলাকা বন্ধ ঘোষণা করলো ইসরাইল

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লেখা হয়েছিল: অ্যাটর্নি জেনারেল

আপডেট সময় ০৩:৩০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লেখা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন থেকে সৃষ্ট আপিলের শুনানিতে বুধবার তিনি এ মন্তব্য করেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লেখা হয়েছিল একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। পরবর্তীতে কোনো রিভিউ ছাড়াই সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক আদালতে ঘোষিত রায় পরিবর্তন করেছেন, যা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা গণতন্ত্র চাই—গণতন্ত্রের নামে কোনো লেবাস চাই না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের তিন বছর পরই আমাদের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল।”

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চে এদিন অষ্টম দিনের শুনানি শেষে আদালত আগামীকাল রাষ্ট্রপক্ষের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

এর আগে বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, জামায়াতে ইসলামী’র পক্ষে শুনানি শেষ করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূইয়া।

উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

২০১১ সালের ১০ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে। পরবর্তীতে ওই রায়ের ভিত্তিতে ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন, যার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয়।

পরে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ও একজন ব্যক্তি রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। গত ২৭ আগস্ট আপিল বিভাগের বেঞ্চ তাদের লিভ মঞ্জুর করে ২১ অক্টোবর থেকে আপিল শুনানির দিন নির্ধারণ করে।

এছাড়া, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে বাতিলের রায় দেন।