ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
মিশরের সীমান্ত এলাকা বন্ধ ঘোষণা করলো ইসরাইল চাদে পানি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩৩ প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকেই জুলাই সনদ নিতে চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ জকসু নির্বাচনের তারিখ ২২ ডিসেম্বর চূড়ান্ত সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংক একীভূতকরণে শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিপূরণ পাবেন : বাংলাদেশ ব্যাংক গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিশ্চিত করতে ‘গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুমোদন ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর: সিপাহী-জনতার বিপ্লব ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রথমবারের মতো ৪৮ দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের জন্য নতুন জার্সি প্রকাশ করলো অ্যাডিডাস: আর্জেন্টিনাসহ ২২ দেশের ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন পীরগঞ্জে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ, আলোচনায় ‘ঢাকা বিরিয়ানি হাউজ’ সলঙ্গা হেরোইনসহ ২ মাদক কারবারি আটক

নয় মাসে ৮৩ কোটি টাকায় কী বদল হলো?’— প্রশ্ন তুললেন মোশাররফ আহমেদ

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নয় মাসের কর্মকাণ্ড ও ৮৩ কোটি টাকার ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক ছাত্রনেতা মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর।
তিনি মনে করেন, দেশের এই সংবেদনশীল সময়ে নেতৃত্বের সিদ্ধান্তগুলো আরও সময়োপযোগী ও দূরদর্শী হওয়া উচিত ছিল।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আলোচনায় অংশ নিয়ে মোশাররফ আহমেদ বলেন,

“রাজনৈতিক দলগুলোকে এখন বলা হচ্ছে— সিদ্ধান্ত নিন। অথচ শুরুতেই যদি তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হতো, তাহলে এই বিভ্রান্তি তৈরি হতো না।”

তিনি আরও যোগ করেন,

“যখন দেশের অর্থনীতি ও নিরাপত্তা এক অনিশ্চয়তার মধ্যে, তখন এমন সিদ্ধান্ত জনগণের মনে প্রশ্ন জাগায়— এতদিন যা হলো, তার পরিণতি কী?”

ড. আসিফ নজরুলের এক বক্তব্যের উদ্ধৃতি টেনে মোশাররফ বলেন,

“মাঠও নাই, পুরোহিতও নাই— এতদিন যারা সামনে ছিলেন, তারা হঠাৎ কেন সরে গেলেন? এই প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষও করছে।”

তিনি ব্যাখ্যা করেন,

“নয় মাস পর এসে বলা হলো— রাজনৈতিক দলগুলো বসে সিদ্ধান্ত নিক। তাহলে শুরুতেই কেন বলা হলো না? এখন এই দেরিতে বলা কথার মূল্য আর কী?”

আলোচনায় তিনি বলেন,

“আমি ড. ইউনূসের বিরোধী নই। বরং তাঁর কাছ থেকে জনগণ অনেক আশা করেছিল। কিন্তু এই দীর্ঘ সময় পরও কাঙ্ক্ষিত ফল না আসায় হতাশা তৈরি হয়েছে।”

তার ভাষায়,

“একটা গণআন্দোলনের পরিস্থিতিতে মানুষের ধৈর্য কমে যায়, সহনশীলতা হারিয়ে ফেলে। সেই সময়ে যদি নেতৃত্ব বিভ্রান্ত বার্তা দেয়, সেটি আন্দোলন ও রাষ্ট্র— দুই ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলে।”

শেষে মোশাররফ আহমেদ বলেন,

“ড. ইউনূসকে কেন্দ্র করে অনেক প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, কিন্তু সেই প্রত্যাশার জায়গায় এসেছে একরাশ হতাশা। এই হতাশা থেকে দেশকে বের করে আনতে এখনই রাজনৈতিক সমঝোতা জরুরি।”

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বার্তা বিভাগ

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

মিশরের সীমান্ত এলাকা বন্ধ ঘোষণা করলো ইসরাইল

নয় মাসে ৮৩ কোটি টাকায় কী বদল হলো?’— প্রশ্ন তুললেন মোশাররফ আহমেদ

আপডেট সময় ০৭:৩৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নয় মাসের কর্মকাণ্ড ও ৮৩ কোটি টাকার ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক ছাত্রনেতা মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর।
তিনি মনে করেন, দেশের এই সংবেদনশীল সময়ে নেতৃত্বের সিদ্ধান্তগুলো আরও সময়োপযোগী ও দূরদর্শী হওয়া উচিত ছিল।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আলোচনায় অংশ নিয়ে মোশাররফ আহমেদ বলেন,

“রাজনৈতিক দলগুলোকে এখন বলা হচ্ছে— সিদ্ধান্ত নিন। অথচ শুরুতেই যদি তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হতো, তাহলে এই বিভ্রান্তি তৈরি হতো না।”

তিনি আরও যোগ করেন,

“যখন দেশের অর্থনীতি ও নিরাপত্তা এক অনিশ্চয়তার মধ্যে, তখন এমন সিদ্ধান্ত জনগণের মনে প্রশ্ন জাগায়— এতদিন যা হলো, তার পরিণতি কী?”

ড. আসিফ নজরুলের এক বক্তব্যের উদ্ধৃতি টেনে মোশাররফ বলেন,

“মাঠও নাই, পুরোহিতও নাই— এতদিন যারা সামনে ছিলেন, তারা হঠাৎ কেন সরে গেলেন? এই প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষও করছে।”

তিনি ব্যাখ্যা করেন,

“নয় মাস পর এসে বলা হলো— রাজনৈতিক দলগুলো বসে সিদ্ধান্ত নিক। তাহলে শুরুতেই কেন বলা হলো না? এখন এই দেরিতে বলা কথার মূল্য আর কী?”

আলোচনায় তিনি বলেন,

“আমি ড. ইউনূসের বিরোধী নই। বরং তাঁর কাছ থেকে জনগণ অনেক আশা করেছিল। কিন্তু এই দীর্ঘ সময় পরও কাঙ্ক্ষিত ফল না আসায় হতাশা তৈরি হয়েছে।”

তার ভাষায়,

“একটা গণআন্দোলনের পরিস্থিতিতে মানুষের ধৈর্য কমে যায়, সহনশীলতা হারিয়ে ফেলে। সেই সময়ে যদি নেতৃত্ব বিভ্রান্ত বার্তা দেয়, সেটি আন্দোলন ও রাষ্ট্র— দুই ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলে।”

শেষে মোশাররফ আহমেদ বলেন,

“ড. ইউনূসকে কেন্দ্র করে অনেক প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, কিন্তু সেই প্রত্যাশার জায়গায় এসেছে একরাশ হতাশা। এই হতাশা থেকে দেশকে বের করে আনতে এখনই রাজনৈতিক সমঝোতা জরুরি।”