
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নয় মাসের কর্মকাণ্ড ও ৮৩ কোটি টাকার ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক ছাত্রনেতা মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর।
তিনি মনে করেন, দেশের এই সংবেদনশীল সময়ে নেতৃত্বের সিদ্ধান্তগুলো আরও সময়োপযোগী ও দূরদর্শী হওয়া উচিত ছিল।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আলোচনায় অংশ নিয়ে মোশাররফ আহমেদ বলেন,
“রাজনৈতিক দলগুলোকে এখন বলা হচ্ছে— সিদ্ধান্ত নিন। অথচ শুরুতেই যদি তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হতো, তাহলে এই বিভ্রান্তি তৈরি হতো না।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“যখন দেশের অর্থনীতি ও নিরাপত্তা এক অনিশ্চয়তার মধ্যে, তখন এমন সিদ্ধান্ত জনগণের মনে প্রশ্ন জাগায়— এতদিন যা হলো, তার পরিণতি কী?”
ড. আসিফ নজরুলের এক বক্তব্যের উদ্ধৃতি টেনে মোশাররফ বলেন,
“মাঠও নাই, পুরোহিতও নাই— এতদিন যারা সামনে ছিলেন, তারা হঠাৎ কেন সরে গেলেন? এই প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষও করছে।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন,
“নয় মাস পর এসে বলা হলো— রাজনৈতিক দলগুলো বসে সিদ্ধান্ত নিক। তাহলে শুরুতেই কেন বলা হলো না? এখন এই দেরিতে বলা কথার মূল্য আর কী?”
আলোচনায় তিনি বলেন,
“আমি ড. ইউনূসের বিরোধী নই। বরং তাঁর কাছ থেকে জনগণ অনেক আশা করেছিল। কিন্তু এই দীর্ঘ সময় পরও কাঙ্ক্ষিত ফল না আসায় হতাশা তৈরি হয়েছে।”
তার ভাষায়,
“একটা গণআন্দোলনের পরিস্থিতিতে মানুষের ধৈর্য কমে যায়, সহনশীলতা হারিয়ে ফেলে। সেই সময়ে যদি নেতৃত্ব বিভ্রান্ত বার্তা দেয়, সেটি আন্দোলন ও রাষ্ট্র— দুই ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলে।”
শেষে মোশাররফ আহমেদ বলেন,
“ড. ইউনূসকে কেন্দ্র করে অনেক প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, কিন্তু সেই প্রত্যাশার জায়গায় এসেছে একরাশ হতাশা। এই হতাশা থেকে দেশকে বের করে আনতে এখনই রাজনৈতিক সমঝোতা জরুরি।”
নিজস্ব প্রতিবেদক : 





















