নীলফামারীর আলু চাষিরা টানা বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় দিন গুনছে। হঠাৎ বৃষ্টিপাতে জমিতে পানি জমে থাকায় অনেক জায়গায় চারা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে বীজতলার বীজ আলু পচে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। এতে চাষিরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
কৃষকরা জানিয়েছেন, সার, কীটনাশক ও মজুরি দামের লাগামহীন বৃদ্ধির পাশাপাশি আলুর বাজারদর অনিশ্চিত থাকায় আগাম আলু চাষাবাদে তাদের স্বপ্নের “চাদরে কালো মেঘ” দেখা দিয়েছে। অক্টোবরের শেষ দিক থেকেই আলু রোপণের উপযুক্ত সময় থাকা সত্ত্বেও এ বছর অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে চাষ করতে পারছেন না।
নীলফামারীর সদর, কিশোরগঞ্জ, জলঢাকা, ডোমার ও ডিমলা উপজেলার কৃষকরা জানান, টানা বৃষ্টির কারণে নিম্নাঞ্চলের জমিগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় চারা পচে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হলে কয়েক দিনের মধ্যে জমি চাষ করে নতুন করে রোপণ সম্ভব হতো, তবে এখন জমিতে পানি শুকতে আরও সময় লাগবে, ফলে উৎপাদন খরচও বেড়ে যাবে।
সদরের রামনগর ইউনিয়নের আলু চাষি মাজেদুল ইসলাম বলেন, “আগাম আমন ধান কেটে জমিতে আলু চাষাবাদ করেছি। বীজ বাদে সার, কীটনাশক ও মজুরি সহ প্রতি বিঘায় ১২–১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন টানা বৃষ্টিতে কী হবে, বলা মুশকিল।”
একই এলাকার নুর মোহাম্মদ যোগ করেন, “আগাম ধান সুবিধাজনক না হলেও আলু চাষাবাদের স্বপ্ন দেখেছিলাম, কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় তা দুঃস্বপ্নে পরিণত হলো।”
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা বলেন, উত্তরের এই জেলা কৃষি নির্ভর হওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন তারা।
সেলিম রেজা, নীলফামারী : 



















