ঢাকা ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
গাইবান্ধায় ৬৮ বছর বয়সের বৃদ্ধা ধ/র্ষ/ণে/র আ’সা’মি গ্রে/ফতার  টঙ্গীতে গুজবের কারণে পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ গাছা থানার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এম. এ. – গ্রেফতার ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র জেবা তাহসিনের পদত্যাগ অবৈধ জমি দখলে সন্ত্রাসী হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ কুতুবদিয়া সরকারি কলেজে নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রাম-২০২৫ সম্পন্ন শাসক নয়, সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই – আবু তাহের সেচ হলে বাড়বে ২৪ কোটি টাকার অতিরিক্ত উৎপাদন: আধুনিক সেচে খুলবে হাটহাজারীর বোরো আবাদের দুয়ার রাঙ্গামাটি জেলা কাপ্তাই উপজেলাতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড: মো: জিয়াউদ্দিন  রামগঞ্জ মডেল কলেজে নামাজের জন্য কক্ষ বরাদ্দের আবেদন ছাত্র শিবিরের

নগর জামায়াতের গোপন দরবার হলে পুলিশের হানা,নারী চিকিৎসক আটক

ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তার

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও তাদের অর্থের যোগানদাতার অভিযোগে রাজশাহীর প্রসূতী ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ এবং মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার এন্ড হাসপাতালের মালিক ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৪ অক্টোবর শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আদালতে চালান দেওয়া হয়।
৩ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। নগরীর বড় বনগ্রাম এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা গাড়িতে করে নিয়ে যায়। এর আগে বিকাল ৫টার দিকে ডিবি ও শাহ মখদুম থানা পুলিশ বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। তার বাড়িতে চালানো হয় তল্লাশী। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর বিপুল সংখক বই ও কাগজপত্র পাওয়া যায় তার বাসায়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপ- কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, “ সন্দেহভাজন হিসেবে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এ কারণে চলতি বছরের মে মাসে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাহমখদুম থানায় দায়ের করা একটি বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওই মামলার সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দেয়া হয়।”
তিনি বলেন, ফাতেমা সিদ্দিকা জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তার বাড়িটিতে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বৈঠকেও করেন। মূলত জামায়াতের লোকজন সেখানে গোপন বৈঠক করেছে এমন খবরে অভিযান চালানো হয়। তবে বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার বাড়ি থেকে কিছু জামায়াতের বই ও কাগজপত্র পাওয়া গেছে।”
রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য মাজেদুর রহমান বলেন, “ফাতেমা সিদ্দিকা আমাদের একজন সমর্থক। তিনি অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করে থাকেন। বিনা কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এ গ্রেপ্তারের নিন্দা জানায় এবং দ্রুত তার মুক্তি দাবি করি।”
রাজশাহীতে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে যে কয়জন চিকিৎসকের খ্যাতি রয়েছে তার মধ্যে ফাতেমা সিদ্দিকা অন্যতম। মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার নামে তার একটি হাসপাতাল রয়েছে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক।
গত ৪ এপ্রিল ফাতেমা সিদ্দিকার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে রাজশাহীর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি এখনও কারাগারে আছেন। ফাতেমা সিদ্দিকা ঘুষের টাকা নিয়ে যাওয়ার আগে দুদককে খবর দিয়েছিল।
এছাড়াও গত ৭ সেপ্টেম্বর ফাতেমা সিদ্দিকার বাসায় অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। এ সময় বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে ফাতেমা সিদ্দিকার ছেলে নাজমুস সাকিবকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এক তরুণীকেও। বাড়িটি থেকে সেদিন মাদকদ্রব্যও জব্দ করা হয়।
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

গাইবান্ধায় ৬৮ বছর বয়সের বৃদ্ধা ধ/র্ষ/ণে/র আ’সা’মি গ্রে/ফতার 

নগর জামায়াতের গোপন দরবার হলে পুলিশের হানা,নারী চিকিৎসক আটক

আপডেট সময় ০৩:২৩:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও তাদের অর্থের যোগানদাতার অভিযোগে রাজশাহীর প্রসূতী ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ এবং মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার এন্ড হাসপাতালের মালিক ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৪ অক্টোবর শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আদালতে চালান দেওয়া হয়।
৩ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। নগরীর বড় বনগ্রাম এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা গাড়িতে করে নিয়ে যায়। এর আগে বিকাল ৫টার দিকে ডিবি ও শাহ মখদুম থানা পুলিশ বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। তার বাড়িতে চালানো হয় তল্লাশী। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর বিপুল সংখক বই ও কাগজপত্র পাওয়া যায় তার বাসায়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপ- কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, “ সন্দেহভাজন হিসেবে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এ কারণে চলতি বছরের মে মাসে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাহমখদুম থানায় দায়ের করা একটি বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওই মামলার সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দেয়া হয়।”
তিনি বলেন, ফাতেমা সিদ্দিকা জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তার বাড়িটিতে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বৈঠকেও করেন। মূলত জামায়াতের লোকজন সেখানে গোপন বৈঠক করেছে এমন খবরে অভিযান চালানো হয়। তবে বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার বাড়ি থেকে কিছু জামায়াতের বই ও কাগজপত্র পাওয়া গেছে।”
রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য মাজেদুর রহমান বলেন, “ফাতেমা সিদ্দিকা আমাদের একজন সমর্থক। তিনি অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করে থাকেন। বিনা কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এ গ্রেপ্তারের নিন্দা জানায় এবং দ্রুত তার মুক্তি দাবি করি।”
রাজশাহীতে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে যে কয়জন চিকিৎসকের খ্যাতি রয়েছে তার মধ্যে ফাতেমা সিদ্দিকা অন্যতম। মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার নামে তার একটি হাসপাতাল রয়েছে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক।
গত ৪ এপ্রিল ফাতেমা সিদ্দিকার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে রাজশাহীর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি এখনও কারাগারে আছেন। ফাতেমা সিদ্দিকা ঘুষের টাকা নিয়ে যাওয়ার আগে দুদককে খবর দিয়েছিল।
এছাড়াও গত ৭ সেপ্টেম্বর ফাতেমা সিদ্দিকার বাসায় অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। এ সময় বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে ফাতেমা সিদ্দিকার ছেলে নাজমুস সাকিবকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এক তরুণীকেও। বাড়িটি থেকে সেদিন মাদকদ্রব্যও জব্দ করা হয়।