
আকাশে বিকেলের মৃদু আলো, মাঠে বাতাসের হালকা দোলা। তাড়াশ জিকেএস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠচত্বর যেন এক অন্যরকম আবহে ভরে উঠেছিল ১৮ আগস্ট সোমবার বিকেল তিনটায়। সেখানে সমবেত হয়েছিলেন মুক্তিকামী মানুষ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রজন্মের তরুণেরা-সবাই একাত্ম হয়েছিলেন জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে আহত ও প্রাণ বিসর্জন দেওয়া সাহসী সন্তানদের স্মরণে।
সভাটির সভাপতিত্ব করেন সাবেক ছাত্রনেতা ও তাড়াশ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান ইকবাল শহীদ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রকৌশলী মোঃ রাসেল ইকবাল।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এবং সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর।
স্মরণসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জয়নুল আবেদীন মাহবুব। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তপন কুমার গোস্বামী, আবুল হোসেন প্রামানিক, খন্দকার সাইফুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, আব্দুল কাদের ও ফরহাদ আলী জুলাই যোদ্ধা শাহীন বাবু ও সাব্বির খন্দকার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “জুলাই-আগস্টের আন্দোলন শুধু একটি রাজনৈতিক অধ্যায় নয়, এটি জনগণের রক্তে লেখা এক ইতিহাস। যে তরুণরা জীবন দিলেন, যারা আহত হলেন-তারা আসলে গণতন্ত্রের পতাকা আরও উঁচুতে তুলে ধরেছেন। তাদের আত্মত্যাগ আজ আমাদের জন্য প্রেরণার বাতিঘর।”
বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের সেই উত্তাল দিনগুলোতে তাড়াশের মাঠ-প্রান্তরে যে শ্লোগান উঠেছিল, যে রক্ত ঝরেছিল, তার প্রতিটি ফোঁটা ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবে। শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র রক্ষার শপথই হবে আজকের প্রজন্মের দায়িত্ব।
স্মরণসভায় নীরবতা নেমে আসে যখন নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বাতাসে তখন যেন মিলেমিশে যায় তাদের অসমাপ্ত স্বপ্ন, আর উপস্থিত জনতার চোখে ভেসে ওঠে অশ্রুর কুয়াশা।
সভা শেষে সবাই একসঙ্গে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এস. এম. রুহুল তাড়াশী, স্টাফ রিপোর্টার: 



















