ঢাকা ০১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রামগঞ্জে ফসলি জমিতে মাটি কাটার মহোৎসব

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভাদুর ইউনিয়নের কেথুড়ীসহ আশপাশের এলাকায় চলছে ফসলি জমিতে মাটি কাটার মহোৎসব। এই অনিয়ন্ত্রিত মাটি কাটার ফলে কৃষিজমি, মাঠ ও রাস্তাঘাট দ্রুত ধ্বংস হচ্ছে। কথিত আছে, মাটি খেকো এসব ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকা দিয়ে একদল নব্য চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীকেসহ একটি মহলকে ম্যানেজ করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বাজারের পাশ দিয়ে দিনে-রাতে মাটি আনা-নেওয়া করে। এই বিধি বহির্ভূত কাজের ফলে পুরো এলাকার পরিবেশ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

এই মাটি খেকোদের সাহস বৃদ্ধির পেছনে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের নীরবতা বা সমর্থন রয়েছে বলে সাধারণ মানুষের ধারণা। জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা জামায়াতের আমির-সেক্রেটারি, জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক মন্ত্রীর ছেলে, সাবেক চেয়ারম্যান এবং বিএনপির অনেক প্রভাবশালী নেতাসহ বেশ কিছু সামাজিক সংগঠনের নাম এই এলাকার রাজনীতি ও সমাজজীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে, প্রভাবশালী এসব নেতা ও সংগঠনের সদস্যরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতেন, তবে মাটি ব্যবসায়ীদের বিন্দুমাত্র সাহস হতো না ফসলি জমি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করার।

সাধারণ মানুষ মনে করেন, লোভ আর স্বার্থ ত্যাগ করে সমাজের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে এলে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব। অন্যথায় ঘুনে ধরা সমাজ ব্যবস্থাটি দিন দিন ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই সমাজ ও পরিবেশ রক্ষায় কেবল মাইকে আওয়াজ বা বক্তব্য নয়, বর্তমান সময়ের মানুষ বাস্তব পদক্ষেপ ও পরিবর্তনের ফল দেখতে চায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রামগঞ্জে ফসলি জমিতে মাটি কাটার মহোৎসব

আপডেট সময় ১২:২১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভাদুর ইউনিয়নের কেথুড়ীসহ আশপাশের এলাকায় চলছে ফসলি জমিতে মাটি কাটার মহোৎসব। এই অনিয়ন্ত্রিত মাটি কাটার ফলে কৃষিজমি, মাঠ ও রাস্তাঘাট দ্রুত ধ্বংস হচ্ছে। কথিত আছে, মাটি খেকো এসব ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকা দিয়ে একদল নব্য চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীকেসহ একটি মহলকে ম্যানেজ করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বাজারের পাশ দিয়ে দিনে-রাতে মাটি আনা-নেওয়া করে। এই বিধি বহির্ভূত কাজের ফলে পুরো এলাকার পরিবেশ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

এই মাটি খেকোদের সাহস বৃদ্ধির পেছনে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের নীরবতা বা সমর্থন রয়েছে বলে সাধারণ মানুষের ধারণা। জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা জামায়াতের আমির-সেক্রেটারি, জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক মন্ত্রীর ছেলে, সাবেক চেয়ারম্যান এবং বিএনপির অনেক প্রভাবশালী নেতাসহ বেশ কিছু সামাজিক সংগঠনের নাম এই এলাকার রাজনীতি ও সমাজজীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে, প্রভাবশালী এসব নেতা ও সংগঠনের সদস্যরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতেন, তবে মাটি ব্যবসায়ীদের বিন্দুমাত্র সাহস হতো না ফসলি জমি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করার।

সাধারণ মানুষ মনে করেন, লোভ আর স্বার্থ ত্যাগ করে সমাজের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে এলে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব। অন্যথায় ঘুনে ধরা সমাজ ব্যবস্থাটি দিন দিন ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই সমাজ ও পরিবেশ রক্ষায় কেবল মাইকে আওয়াজ বা বক্তব্য নয়, বর্তমান সময়ের মানুষ বাস্তব পদক্ষেপ ও পরিবর্তনের ফল দেখতে চায়।