
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর এক আবেগঘন ফেসবুক পোস্টে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ত্যাগ ও ব্যক্তিগত স্মৃতি তুলে ধরেছেন।
জীবনের ৭৭ বছর পেরিয়ে আসা এই জ্যেষ্ঠ নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “এই নির্বাচন হয়ত আমার শেষ নির্বাচন!”
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর, ২০২৫) দুপুরে ফেসবুক পোস্টে তিনি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সকল নেতা-কর্মীকে ধন্যবাদ জানান।
ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি দিয়ে শুরু করে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর দল ন্যাপ হয়ে পরে বিএনপিতে যোগ দেওয়া মির্জা ফখরুল, তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রার ব্যক্তিগত দিকটি তুলে ধরেন।
তিনি লিখেছেন, “আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭ তে সিদ্ধান্ত নিই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!” তিনি স্মরণ করেন, কিভাবে তার স্ত্রী একাই সন্তানদের বড় করেছেন এবং কিভাবে তিনি মেয়ের পাশে থাকতে সারারাত গাড়িতে পথে ছিলেন।
তিনি জানান, “এরকম গল্প আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীর আছে!” আগামী নির্বাচনকে জীবনের শেষ নির্বাচন হিসেবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন: “যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশাআল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দিবে!” “আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতা কর্মীর জন্য দুআ করবেন!” “বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সাথে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশাআল্লাহ! আপনারা পাশে থেকেন।”
উল্লেখ্য, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি) এবং ২০০১ সালে দুইবার এই আসন (ঠাকুরগাঁও-১) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মোঃ সোহেল মিয়া : 




















