গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) পুলিশের সেবাকে স্বচ্ছ, জনবান্ধব ও জবাবদিহিমূলক করার লক্ষ্যে চালু করেছে ‘গণপুলিশিং সার্ভিস’—একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। এটি থানায় আগত নাগরিকদের সেবাপ্রাপ্তির পুরো প্রক্রিয়াকে রিয়েল-টাইমে অনলাইন তদারকির আওতায় আনে।
গাজীপুর সদর মেট্রো থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান। নতুন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে থানায় আসা প্রত্যেক সেবা প্রার্থীর তথ্য ও ছবি ডিজিটালি নিবন্ধিত হবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যেকোনো স্থান থেকে তাৎক্ষণিকভাবে দেখতে পারবেন, কোন আবেদন বা অভিযোগ কোন ধাপে আছে, কোন কর্মকর্তা দায়িত্বে রয়েছেন এবং কত সময় ধরে আবেদনটি অপেক্ষমাণ।
সিস্টেমে ‘পেন্ডিং’ হিসেবে কোনো আবেদন থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে, যা দাপ্তরিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান বলেন,
“জনগণের আস্থা অর্জন ও পুলিশি সেবাকে আরও স্বচ্ছ, সময়োপযোগী ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে ‘গণপুলিশিং সার্ভিস’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, থানায় আগত প্রতিটি নাগরিক দ্রুত, সঠিক ও সম্মানজনক সেবা পাচ্ছেন।”
এই রিয়েল-টাইম মনিটরিং সিস্টেম ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট পুলিশিং ধারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এর মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের সেবা প্রদানে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে, থানার কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ হবে এবং নাগরিক সেবার মান উন্নয়ন ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
জিএমপির মোট আটটি থানার মধ্যে ছয়টিতে আজ থেকেই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে নাগরিকরা উন্নত সেবা পাচ্ছেন। বাকি দুটি থানায়—কোনাবাড়ী ও বাসন—ও দ্রুত এই ব্যবস্থা চালুর প্রস্তুতি চলছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিসি (হেডকোয়ার্টার) জাহিদুল ইসলাম, ডিসি (অপরাধ-উত্তর) রবিউল হাসান, ডিসি (লজিস্টিকস) শফিকুল ইসলাম, সদর মেট্রো থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।
এমারত হোসেন বকুল, গাজীপুর : 

























