ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
মিশরের সীমান্ত এলাকা বন্ধ ঘোষণা করলো ইসরাইল চাদে পানি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩৩ প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকেই জুলাই সনদ নিতে চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ জকসু নির্বাচনের তারিখ ২২ ডিসেম্বর চূড়ান্ত সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংক একীভূতকরণে শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিপূরণ পাবেন : বাংলাদেশ ব্যাংক গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিশ্চিত করতে ‘গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুমোদন ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর: সিপাহী-জনতার বিপ্লব ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রথমবারের মতো ৪৮ দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের জন্য নতুন জার্সি প্রকাশ করলো অ্যাডিডাস: আর্জেন্টিনাসহ ২২ দেশের ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন পীরগঞ্জে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ, আলোচনায় ‘ঢাকা বিরিয়ানি হাউজ’ সলঙ্গা হেরোইনসহ ২ মাদক কারবারি আটক

বগুড়ার শাখারিয়ায় বিদ্যালয়ের ভবন বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ, ক্ষোভে এলাকাবাসী

  • জেলা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় ০৬:৪৮:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

বগুড়ার সদর উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়নের পল্লীমঙ্গল বারুইপাড়া ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভবনের ইট, টিন ও লোহার অ্যাঙ্গেলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রির প্রক্রিয়া গোপনে সম্পন্ন হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো দৈনিক পত্রিকায় দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে নির্দিষ্ট কয়েকজনকে চিঠির মাধ্যমে নিলামে অংশগ্রহণের সুযোগ দেন। এতে বিদ্যালয়ের সভাপতি, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও প্রধান শিক্ষকের সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।

সরজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি ইতোমধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভবনের ইট, টিন ও লোহার অ্যাঙ্গেল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, “বিদ্যালয়ের সম্পদ বিক্রির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকা অত্যন্ত জরুরি, কিন্তু এখানে পুরো প্রক্রিয়াটিই গোপনে করা হয়েছে।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান বলেন,
“আমরা প্রশাসনের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মেনেই কাজটি করেছি। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ীই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয়েছে।”
তবে দরপত্রটি আসলেই কোনো পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছিল কিনা—এমন প্রশ্নে তিনি স্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি।

অন্যদিকে, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় সচেতন এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে তদন্ত দাবি করেছেন। তারা বলেন, “এটি সরকারি সম্পদের বিষয়—এখানে অনিয়ম হলে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

বর্তমানে ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং স্থানীয়রা প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বার্তা বিভাগ

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

মিশরের সীমান্ত এলাকা বন্ধ ঘোষণা করলো ইসরাইল

বগুড়ার শাখারিয়ায় বিদ্যালয়ের ভবন বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ, ক্ষোভে এলাকাবাসী

আপডেট সময় ০৬:৪৮:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

বগুড়ার সদর উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়নের পল্লীমঙ্গল বারুইপাড়া ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভবনের ইট, টিন ও লোহার অ্যাঙ্গেলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রির প্রক্রিয়া গোপনে সম্পন্ন হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো দৈনিক পত্রিকায় দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে নির্দিষ্ট কয়েকজনকে চিঠির মাধ্যমে নিলামে অংশগ্রহণের সুযোগ দেন। এতে বিদ্যালয়ের সভাপতি, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও প্রধান শিক্ষকের সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।

সরজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি ইতোমধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভবনের ইট, টিন ও লোহার অ্যাঙ্গেল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, “বিদ্যালয়ের সম্পদ বিক্রির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকা অত্যন্ত জরুরি, কিন্তু এখানে পুরো প্রক্রিয়াটিই গোপনে করা হয়েছে।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান বলেন,
“আমরা প্রশাসনের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মেনেই কাজটি করেছি। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ীই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয়েছে।”
তবে দরপত্রটি আসলেই কোনো পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছিল কিনা—এমন প্রশ্নে তিনি স্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি।

অন্যদিকে, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় সচেতন এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে তদন্ত দাবি করেছেন। তারা বলেন, “এটি সরকারি সম্পদের বিষয়—এখানে অনিয়ম হলে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

বর্তমানে ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং স্থানীয়রা প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন।