
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড হামলা, অবৈধ গ্রেফতার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সর্বস্তরের শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে তাড়াশ ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সমবেত হন। সকাল সাড়ে ১১টায় সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে তাড়াশ প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরবর্তীতে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ, তাড়াশ ও সলঙ্গা) আসনের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী, ত্যাগ, সংগ্রাম ও সততার প্রতীক খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি-দাওয়ার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, “শিক্ষক সমাজই জাতির বিবেক। তাদের দাবিকে অবহেলা করা মানে শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তিকে দুর্বল করা।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাফর ইকবাল, সহকারী অধ্যাপক এম. এ. মালিক, তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল কাদের, উপাধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ, মাটিয়ামালিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জয়নুল আবেদীন মাহবুব, গুল্টাবাজার এম. মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মজিবর রহমান ও প্রধান শিক্ষক শ্যাম সুন্দর প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আন্দোলন এখন শিক্ষকদের অস্তিত্বের প্রশ্নে রূপ নিয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে এবং প্রয়োজনে আরও তীব্র হবে। তারা তিন দফা দাবির মধ্যে- মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাতা বৃদ্ধি, ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ হারে উৎসব ভাতা প্রদানের প্রজ্ঞাপন দ্রুত জারির দাবি জানান।
বক্তারা সরকারের উদ্দেশে বলেন, “জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাতা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি অগ্রাহ্য করা অন্যায় ও অবিচার। এই অবিচারের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমাজ আজ ঐক্যবদ্ধ।”
শেষাংশে উপস্থিত শিক্ষক-কর্মচারীরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করে পুনরায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
স্টাফ রিপোর্টার : এস. এম. রুহুল তাড়াশী 




















