
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দিতে অবস্থিত একটি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২০ আগস্ট, ২০২৫) বিকেলে সংঘটিত এই দুর্ঘটনায় একটি যাত্রীবাহী বাস, ৯টি সিএনজি অটোরিকশা এবং দুটি মোটরসাইকেল সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। তবে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের তৎপরতায় পাম্পের মূল গ্যাস মজুত অক্ষত থাকায় একটি বড় ধরনের বিস্ফোরণ থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে আউশকান্দি বাজার সংলগ্ন ওই সিএনজি পাম্পে গ্যাস নেওয়ার জন্য একটি যাত্রীবাহী বাস আসে। বাসটি গ্যাস নিতে গেলে হঠাৎ করে তার ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে এবং মুহূর্তের মধ্যেই তাতে আগুন ধরে যায়। বাসের আগুন দ্রুত আশেপাশে থাকা সিএনজি এবং মোটরসাইকেলে ছড়িয়ে পড়ে। বিকট শব্দে একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, নিমিষেই বাসটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। একই সঙ্গে গ্যাস নিতে অপেক্ষমাণ ৯টি সিএনজি অটোরিকশা এবং দুটি মোটরসাইকেলও পুড়ে কয়লা হয়ে যায়। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সৌভাগ্যবশত, এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় এক ঘণ্টার নিরলস প্রচেষ্টার পর তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, সময় মতো আগুন নেভানো সম্ভব না হলে পাম্পের মূল গ্যাস ট্যাঙ্কে আগুন ছড়িয়ে পড়ত, যা থেকে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাসের ইঞ্জিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা বলছেন, এমন একটি ব্যস্ত এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও বড় বিপদ ঘটতে পারত।

ব্যুরো প্রধান; সিলেট: 
























