ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
মিশরের সীমান্ত এলাকা বন্ধ ঘোষণা করলো ইসরাইল চাদে পানি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩৩ প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকেই জুলাই সনদ নিতে চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ জকসু নির্বাচনের তারিখ ২২ ডিসেম্বর চূড়ান্ত সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংক একীভূতকরণে শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিপূরণ পাবেন : বাংলাদেশ ব্যাংক গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিশ্চিত করতে ‘গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুমোদন ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর: সিপাহী-জনতার বিপ্লব ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রথমবারের মতো ৪৮ দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের জন্য নতুন জার্সি প্রকাশ করলো অ্যাডিডাস: আর্জেন্টিনাসহ ২২ দেশের ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন পীরগঞ্জে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ, আলোচনায় ‘ঢাকা বিরিয়ানি হাউজ’ সলঙ্গা হেরোইনসহ ২ মাদক কারবারি আটক

অভিভাবকের পছন্দের যাবে টাকা, বাতিল হলো নগদের একক চুক্তি: প্রাথমিক উপবৃত্তি বিতরণে নতুন দিগন্ত

​প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনল সরকার। এখন থেকে উপবৃত্তির টাকা আর শুধু একটি নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং (এমএফএস) হিসাবে যাবে না, বরং অভিভাবকেরা তাঁদের পছন্দের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব বেছে নিতে পারবেন। এই নতুন ব্যবস্থার অধীনে দেশের সব প্রধান এমএফএস প্রতিষ্ঠান—বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় এবং এমক্যাশ—উপবৃত্তি বিতরণে যুক্ত হচ্ছে।
​প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) এক চিঠির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে, যা সরকারি অর্থ বিতরণে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করবে। ​
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ২৯ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে ডাক অধিদপ্তর ও ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ লিমিটেডের সঙ্গে সম্পাদিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তিটি বাতিল করার ঘোষণা দেয়। চুক্তি বাতিলের কারণ হিসেবে অধিদপ্তর জানিয়েছে, চুক্তিটি অর্থ বিভাগের নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না এবং নগদ লিমিটেড চুক্তিপত্রের সব শর্ত যথাযথভাবে পালন করতে পারেনি।
​উল্লেখ্য, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে নগদ লিমিটেডের হিসাবের মাধ্যমে এই বৃত্তি বিতরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শনে এই প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে নগদ লিমিটেডের উদ্যোক্তারা পালিয়ে যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংক নগদের দায়িত্ব গ্রহণ করে। এর পরেই সরকারি অর্থ বিতরণে স্বচ্ছতা আনতে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়।
​সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ২৬ অক্টোবর থেকে দেশের সব মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণের নির্দেশনা প্রদান করেছে। এই নির্দেশনার ফলে উপবৃত্তি বিতরণে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হবে।
​উপবৃত্তি বিতরণের সুষ্ঠু পরিচালনা নিয়ে সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং ১৩টি এমএফএস প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই এই নতুন ব্যবস্থা চালু করা হলো।
​জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক নতুন পদ্ধতিতে উপবৃত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়েছে, উপবৃত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দ্বারা মোবাইল সিম ও এমএফএস হিসাব নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে।
​এই নতুন সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জানানোর জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওই চিঠিতে।
​এই পরিবর্তনের ফলে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো থেকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ এবং শিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ ধরে রাখার সরকারি উদ্যোগ আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বার্তা বিভাগ

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

মিশরের সীমান্ত এলাকা বন্ধ ঘোষণা করলো ইসরাইল

অভিভাবকের পছন্দের যাবে টাকা, বাতিল হলো নগদের একক চুক্তি: প্রাথমিক উপবৃত্তি বিতরণে নতুন দিগন্ত

আপডেট সময় ০৭:২০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
​প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনল সরকার। এখন থেকে উপবৃত্তির টাকা আর শুধু একটি নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং (এমএফএস) হিসাবে যাবে না, বরং অভিভাবকেরা তাঁদের পছন্দের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব বেছে নিতে পারবেন। এই নতুন ব্যবস্থার অধীনে দেশের সব প্রধান এমএফএস প্রতিষ্ঠান—বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় এবং এমক্যাশ—উপবৃত্তি বিতরণে যুক্ত হচ্ছে।
​প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) এক চিঠির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে, যা সরকারি অর্থ বিতরণে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করবে। ​
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ২৯ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে ডাক অধিদপ্তর ও ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ লিমিটেডের সঙ্গে সম্পাদিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তিটি বাতিল করার ঘোষণা দেয়। চুক্তি বাতিলের কারণ হিসেবে অধিদপ্তর জানিয়েছে, চুক্তিটি অর্থ বিভাগের নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না এবং নগদ লিমিটেড চুক্তিপত্রের সব শর্ত যথাযথভাবে পালন করতে পারেনি।
​উল্লেখ্য, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে নগদ লিমিটেডের হিসাবের মাধ্যমে এই বৃত্তি বিতরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শনে এই প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে নগদ লিমিটেডের উদ্যোক্তারা পালিয়ে যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংক নগদের দায়িত্ব গ্রহণ করে। এর পরেই সরকারি অর্থ বিতরণে স্বচ্ছতা আনতে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়।
​সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ২৬ অক্টোবর থেকে দেশের সব মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণের নির্দেশনা প্রদান করেছে। এই নির্দেশনার ফলে উপবৃত্তি বিতরণে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হবে।
​উপবৃত্তি বিতরণের সুষ্ঠু পরিচালনা নিয়ে সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং ১৩টি এমএফএস প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই এই নতুন ব্যবস্থা চালু করা হলো।
​জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক নতুন পদ্ধতিতে উপবৃত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়েছে, উপবৃত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দ্বারা মোবাইল সিম ও এমএফএস হিসাব নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে।
​এই নতুন সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জানানোর জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওই চিঠিতে।
​এই পরিবর্তনের ফলে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো থেকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ এবং শিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ ধরে রাখার সরকারি উদ্যোগ আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।