ঢাকা ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
মিশরের সীমান্ত এলাকা বন্ধ ঘোষণা করলো ইসরাইল চাদে পানি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩৩ প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকেই জুলাই সনদ নিতে চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ জকসু নির্বাচনের তারিখ ২২ ডিসেম্বর চূড়ান্ত সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংক একীভূতকরণে শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিপূরণ পাবেন : বাংলাদেশ ব্যাংক গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিশ্চিত করতে ‘গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুমোদন ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর: সিপাহী-জনতার বিপ্লব ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রথমবারের মতো ৪৮ দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের জন্য নতুন জার্সি প্রকাশ করলো অ্যাডিডাস: আর্জেন্টিনাসহ ২২ দেশের ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন পীরগঞ্জে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ, আলোচনায় ‘ঢাকা বিরিয়ানি হাউজ’ সলঙ্গা হেরোইনসহ ২ মাদক কারবারি আটক

১৫ কোটি টাকার দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষের ‘জাল যোগদান’ নাটক : টঙ্গীতে তোলপাড় !

গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন মিয়া আবারও আলোচনায়। ১৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার আর্থিক অনিয়ম ও শিক্ষকদের বিভিন্ন খাতের ১৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এবং বৈষম্যবিরোধীদের একাধিক মামলার আসামি এই অধ্যক্ষ সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) তার ছোট ভাই ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল উদ্দিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, আলাউদ্দিন মিয়া স্কুলে পুনরায় যোগদান করেছেন। পোস্টে হাজিরা খাতা ও অধ্যক্ষের অফিসে বসা একটি ছবিও সংযুক্ত করা হয়।
পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই টঙ্গীতে শুরু হয় ব্যাপক তোলপাড়। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে পরে স্থানীয়রা নিশ্চিত হন—অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়া সেদিন স্কুলে যাননি। ফেসবুকে ব্যবহৃত ছবিটি ছিল পুরোনো এবং হাজিরা খাতায় দেওয়া স্বাক্ষরটি জাল।
সহকারী প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল বলেন, “মঙ্গলবার অধ্যক্ষ স্কুলে আসেননি। হাজিরা খাতা আমার অফিসেই থাকে। আমরা তার কোনো অফিসিয়াল যোগদানপত্র পাইনি। পরে দেখি, খাতায় জাল স্বাক্ষর করা হয়েছে।” এর আগে শিক্ষক-কর্দেমচারীদের পক্ষ থেকে গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ দাখিল করা হলেও, সভাপতি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বরং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শোকজ করেন। এতে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে।
পরে জানা যায়, সভাপতি শাহ নাওয়াজ দিলরুবা খান কারাবন্দি অধ্যক্ষের জন্য “অস্বাভাবিক ছুটি” অনুমোদন করে তাকে পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণের অনুমতি দিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে এ সংক্রান্ত চিঠি ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও অভিযোগ ওঠে, সভাপতি শাহ নাওয়াজ দিলরুবা খান নাকি দুই কোটি টাকার ঘুষের বিনিময়ে অধ্যক্ষকে পুনর্বহাল করার চেষ্টা করছেন। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
প্রবীণ রাজনীতিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, “এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করেছে দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ ও তার সহযোগীরা। প্রশাসনের উচিত দ্রুত তাদের অপসারণ করা, নইলে এর দায় গভর্নিং বডিকেই নিতে হবে।”
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ও বিতর্কিত  সভাপতির অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।
অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়া এবং সভাপতি শাহ নাওয়াজ দিলরুবা খান—দুজনের সঙ্গেই একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে অধ্যক্ষের ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং সভাপতি ফোন রিসিভ করেননি। ম্যাসেজ পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বার্তা বিভাগ

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

মিশরের সীমান্ত এলাকা বন্ধ ঘোষণা করলো ইসরাইল

১৫ কোটি টাকার দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষের ‘জাল যোগদান’ নাটক : টঙ্গীতে তোলপাড় !

আপডেট সময় ০৯:১৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন মিয়া আবারও আলোচনায়। ১৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার আর্থিক অনিয়ম ও শিক্ষকদের বিভিন্ন খাতের ১৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এবং বৈষম্যবিরোধীদের একাধিক মামলার আসামি এই অধ্যক্ষ সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) তার ছোট ভাই ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল উদ্দিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, আলাউদ্দিন মিয়া স্কুলে পুনরায় যোগদান করেছেন। পোস্টে হাজিরা খাতা ও অধ্যক্ষের অফিসে বসা একটি ছবিও সংযুক্ত করা হয়।
পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই টঙ্গীতে শুরু হয় ব্যাপক তোলপাড়। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে পরে স্থানীয়রা নিশ্চিত হন—অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়া সেদিন স্কুলে যাননি। ফেসবুকে ব্যবহৃত ছবিটি ছিল পুরোনো এবং হাজিরা খাতায় দেওয়া স্বাক্ষরটি জাল।
সহকারী প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল বলেন, “মঙ্গলবার অধ্যক্ষ স্কুলে আসেননি। হাজিরা খাতা আমার অফিসেই থাকে। আমরা তার কোনো অফিসিয়াল যোগদানপত্র পাইনি। পরে দেখি, খাতায় জাল স্বাক্ষর করা হয়েছে।” এর আগে শিক্ষক-কর্দেমচারীদের পক্ষ থেকে গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ দাখিল করা হলেও, সভাপতি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বরং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শোকজ করেন। এতে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে।
পরে জানা যায়, সভাপতি শাহ নাওয়াজ দিলরুবা খান কারাবন্দি অধ্যক্ষের জন্য “অস্বাভাবিক ছুটি” অনুমোদন করে তাকে পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণের অনুমতি দিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে এ সংক্রান্ত চিঠি ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও অভিযোগ ওঠে, সভাপতি শাহ নাওয়াজ দিলরুবা খান নাকি দুই কোটি টাকার ঘুষের বিনিময়ে অধ্যক্ষকে পুনর্বহাল করার চেষ্টা করছেন। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
প্রবীণ রাজনীতিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, “এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করেছে দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ ও তার সহযোগীরা। প্রশাসনের উচিত দ্রুত তাদের অপসারণ করা, নইলে এর দায় গভর্নিং বডিকেই নিতে হবে।”
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ও বিতর্কিত  সভাপতির অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।
অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়া এবং সভাপতি শাহ নাওয়াজ দিলরুবা খান—দুজনের সঙ্গেই একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে অধ্যক্ষের ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং সভাপতি ফোন রিসিভ করেননি। ম্যাসেজ পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।