
বগুড়ার ধুনটে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জর্ডান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার পর এক নারীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন এবং শেষ পর্যন্ত বিয়েতে অস্বীকৃতি জানানোর অভিযোগে ফজলুল হক (২৬) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃত ফজলুল হক ধুনট উপজেলার বড়চাপড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং আইয়ুব আলীর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম।
জর্ডানে প্রেম, দেশে এসে প্রতারণা
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, উপজেলার নান্দিয়ারপাড়া গ্রামের ৩৩ বছর বয়সী এক নারী ২০২২ সালে জীবিকার জন্য জর্ডান যান। সেখানে তার সঙ্গে ফজলুল হকের পরিচয় হয় এবং মোবাইল ফোনে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফজলুল ওই নারীর কাছ থেকে এক লাখ টাকা নেন।
প্রেমিকের আশ্বাসে তিনি ২০২৫ সালের ১ আগস্ট দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার পরও ফজলুল বিয়ের কথা বলে তার সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে শারীরিক সম্পর্ক করেন। বিয়ের চাপ, শেষে গ্রেপ্তার
গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে ফজলুল ওই নারীকে নিয়ে যান তার চাচাতো বোনের বাড়িতে। সেখানে আবারও শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরে বিয়ের চাপ দিলে তিনি নানা অজুহাত দেখান এবং পালানোর চেষ্টা করেন। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
পরদিন ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করলে পুলিশ ফজলুলকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে।
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম জানান, “বিদেশফেরত এক নারীর দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত ফজলুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”