সম্প্রতি এ কলেজ থেকে চারজন ছাত্রী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিলেও কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেননি। শুরু থেকেই এমপিওভুক্ত না হওয়া এই কলেজটি এখন কার্যত অস্তিত্ব হারানোর পথে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে গোসাইবাড়ী মহিলা কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দুই বছর পর, অর্থাৎ ২০০১ সালে কলেজটি ছাত্রী ভর্তির অনুমতি পায়। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, যেসব ছাত্রীকে এই কলেজে ভর্তি দেখানো হয়, তারা বাস্তবে অন্য প্রতিষ্ঠানে ক্লাস করে।
কলেজের করণিক মহব্বত আলী বলেন, “কতজন ছাত্রী ভর্তি হয়েছে বা পাস করেছে—এসব তথ্য অধ্যক্ষ নিজেই রাখেন। তবে যারা ভর্তি হন, তারা অন্য কলেজে গিয়ে পড়াশোনা করেন। এখানে শিক্ষকরা কেউই নিয়মিত আসেন না।”
একজন প্রভাষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম আসার পর কে কোথায় শিক্ষক, কে কী দায়িত্বে—কেউ জানে না। কলেজে ছাত্রীই আসে না, তাই আমরা যাই-ই বা কেন?”
কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বেলাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “আওয়ামী লীগের সময়ে আমাকে সরিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে অধ্যক্ষ করা হয়। এরপর থেকেই কলেজের এই করুণ অবস্থা। এখন আর কেউ ক্লাস নিতে আসে না, ছাত্রীরাও আসে না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “হ্যাঁ, এ বছর আমাদের চারজন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, কেউই পাস করেনি।”
তবে কলেজের দুরবস্থা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান তিনি। ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও গোসাইবাড়ী মহিলা কলেজের এখনো নেই নিজস্ব ভবন, শ্রেণিকক্ষ কিংবা কার্যকর শিক্ষা কার্যক্রম।
স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীদের প্রশ্ন—“যে কলেজে ক্লাসই হয় না, সেটি টিকে আছে কীভাবে?”