ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
সততা নিয়ে পোস্ট ভাইরাল, প্রশংসায় ভাসছেন বিএনপি নেতা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ রক্ষায় বিএনপির উদ্যোগ: উত্তরা খাল পরিষ্কার কার্যক্রমে মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিনের নেতৃত্ব। ঢাকা মহানগর উত্তর ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত রামগঞ্জে মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে পানিতে পড়ে  যুবকের  মৃ/ত্যু  সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন সম্পন্ন বিজয়ী তাজ, জাবেদ, জসিম রাঙ্গামাটি রাজস্থলী উপজেলা বাঙ্গালহালিয়াতে সনাতন সম্প্রদায়ের শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা পূজা গোয়ালাবাজারে ১২ উদ্যোক্তার সম্মিলিত উদ্যোগে জেনারেল মেডিসিন হল উদ্বোধন ফিলিপাইনে বাংলাদেশ হাইকমিশন: রাজনৈতিক বৈষম্যের অভিযোগ বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের ২০২৫ – ২৬ সালের কমিটি গঠন: সভাপতি জুবায়ের সম্পাদক মোঃ শিপন কোষাধ্যক্ষ মোঃ নূর উদ্দিন আগামি নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে : লুনা

ফুটপাত ও সড়ক দখল: মাওনা চৌরাস্তার যানজট ও জনদুর্ভোগ

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এখন যানজট ও জনদুর্ভোগের এক চরম উদাহরণ। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপর অবস্থিত এই গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্রটি এখন ভাসমান ব্যবসায়ী ও অবৈধ স্ট্যান্ডের দখলে। ফুটপাত ছাড়িয়ে দোকানপাট এখন মূল সড়কেও ছড়িয়ে পড়েছে, যা প্রতিদিন তীব্র যানজট সৃষ্টি করছে এবং পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক বাধা সৃষ্টি করছে।

মাওনা চৌরাস্তার চিত্র এখন খুবই করুণ। উড়ালসড়কের নিচে ও আশপাশে শত শত অস্থায়ী দোকান গড়ে উঠেছে। এসব দোকান মহাসড়কের লেনের প্রায় অর্ধেক অংশ পর্যন্ত দখল করে আছে। বিশেষ করে, মাওনা থেকে কালিয়াকৈর এবং শ্রীপুর থেকে ঢাকার দিকে যাওয়া সড়কগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। এর ফলে পণ্যবাহী গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস, এমনকি জরুরি সেবার যানবাহন যেমন ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এবং অ্যাম্বুলেন্সও যানজটে আটকে থাকে।

এই অবৈধ দখলের কারণে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। পথচারীদের হাঁটার কোনো জায়গা নেই। নারী ও শিশুদের ঝুঁকি নিয়ে মূল সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী সোহেল এবং বাসিন্দা মোঃ রাশেদের মতে, এই অবস্থা খুবই কষ্টকর। তারা জানান, ফুটপাত না থাকায় সড়ক দিয়ে হাঁটতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে। বিশেষ করে, মাওনা চৌরাস্তা থেকে ফায়ার সার্ভিস অফিস পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় ১৫টিরও বেশি হাসপাতাল থাকায়, যানজটের কারণে রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছাতেও দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

এ অবস্থার পেছনে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের নীরবতাকে দায়ী করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, কিছু অসাধু মার্কেট কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা অবৈধভাবে দোকান বসতে সাহায্য করছেন এবং প্রতিটি দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছেন। এই চাঁদার ভাগ হাইওয়ে পুলিশের পকেটেও যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মাঝে মাঝে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হলেও, তা লোক দেখানো বলে মনে করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের একটাই দাবি, দ্রুত এই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে ফুটপাত ও সড়ক জনচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হোক। প্রশাসনের কাছে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য জোর দাবি জানানো হয়েছে, যাতে সবাই নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

সততা নিয়ে পোস্ট ভাইরাল, প্রশংসায় ভাসছেন বিএনপি নেতা।

ফুটপাত ও সড়ক দখল: মাওনা চৌরাস্তার যানজট ও জনদুর্ভোগ

আপডেট সময় ০৯:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এখন যানজট ও জনদুর্ভোগের এক চরম উদাহরণ। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপর অবস্থিত এই গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্রটি এখন ভাসমান ব্যবসায়ী ও অবৈধ স্ট্যান্ডের দখলে। ফুটপাত ছাড়িয়ে দোকানপাট এখন মূল সড়কেও ছড়িয়ে পড়েছে, যা প্রতিদিন তীব্র যানজট সৃষ্টি করছে এবং পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক বাধা সৃষ্টি করছে।

মাওনা চৌরাস্তার চিত্র এখন খুবই করুণ। উড়ালসড়কের নিচে ও আশপাশে শত শত অস্থায়ী দোকান গড়ে উঠেছে। এসব দোকান মহাসড়কের লেনের প্রায় অর্ধেক অংশ পর্যন্ত দখল করে আছে। বিশেষ করে, মাওনা থেকে কালিয়াকৈর এবং শ্রীপুর থেকে ঢাকার দিকে যাওয়া সড়কগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। এর ফলে পণ্যবাহী গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস, এমনকি জরুরি সেবার যানবাহন যেমন ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এবং অ্যাম্বুলেন্সও যানজটে আটকে থাকে।

এই অবৈধ দখলের কারণে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। পথচারীদের হাঁটার কোনো জায়গা নেই। নারী ও শিশুদের ঝুঁকি নিয়ে মূল সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী সোহেল এবং বাসিন্দা মোঃ রাশেদের মতে, এই অবস্থা খুবই কষ্টকর। তারা জানান, ফুটপাত না থাকায় সড়ক দিয়ে হাঁটতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে। বিশেষ করে, মাওনা চৌরাস্তা থেকে ফায়ার সার্ভিস অফিস পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় ১৫টিরও বেশি হাসপাতাল থাকায়, যানজটের কারণে রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছাতেও দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

এ অবস্থার পেছনে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের নীরবতাকে দায়ী করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, কিছু অসাধু মার্কেট কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা অবৈধভাবে দোকান বসতে সাহায্য করছেন এবং প্রতিটি দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছেন। এই চাঁদার ভাগ হাইওয়ে পুলিশের পকেটেও যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মাঝে মাঝে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হলেও, তা লোক দেখানো বলে মনে করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের একটাই দাবি, দ্রুত এই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে ফুটপাত ও সড়ক জনচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হোক। প্রশাসনের কাছে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য জোর দাবি জানানো হয়েছে, যাতে সবাই নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারে।