ঢাকা ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
উর্মিলা নুসরাত: স্বপ্নের পথে এক নতুন মুখ এস এম জাহাঙ্গীরের লিফলেট বিতরণ : নিকুঞ্জে নেতাকর্মীর ঢল বালিয়াডাঙ্গীতে নির্ধারিত মূল্যের সার চড়া দামে বিক্রি : বিএডিসি সার ডিলারের গুদাম সিলগালা বিশ্বনাথে জামায়াতের উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ বরগুনায় শুরু হলো মাসব্যাপী শরৎ উৎসব কৃষকদলের শক্তি বৃদ্ধি: গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিশ্বনাথে চালকের হাত-পা বেঁ’ধে অটোরিকশা ছি/ন/তা/ই, দুইজন গ্রে’প্তা’র গণতন্ত্রের সৈনিক মো: আব্বাস আলী: ত্যাগ ও সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক যুগ যুগ ধরে অবহেলা আর বঞ্চনায় বন্দি জেলখানা গ্রামের মানুষ পাহাড়ে মিষ্টি কুমড়ার ঝলক ! কৃষকের মুখে হাসি

জাতিসংঘে গাজা নিয়ে ট্রাম্পের আকস্মিক বক্তব্য এবং তার ভণ্ডামি নিয়ে প্রশ্ন

  • ডেস্ক নিউজ :
  • আপডেট সময় ১২:৪৫:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা বিষয়ক বক্তব্য বিশ্বজুড়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, “আমরা এটি থামাবই।” তার এই আকস্মিক বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে যেমন কৌতূহল সৃষ্টি করেছে, তেমনি তার পূর্ববর্তী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এর বৈপরীত্য নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

ট্রাম্প তার ভাষণে আরও বলেন, “আমাদের এটি সম্পন্ন করতে হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনাও করতে হবে। আমাদের বন্দিদের ফেরত আনতে হবে।” তিনি উল্লেখ করেন, গাজায় যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে ৬৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। তবে, বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিসংখ্যান বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ট্রাম্পের এই বক্তৃতাকে “ভণ্ডামি” হিসেবে দেখছে। তাদের মতে, গাজায় যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, যার মূল পৃষ্ঠপোষক স্বয়ং ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক আফ্রিকায় স্থানান্তরিত করে গাজায় আবাসিক এলাকা নির্মাণের পরিকল্পনাও তার পূর্ববর্তী শাসনামলে আলোচিত হয়েছিল।

ট্রাম্প তার বক্তব্যে হামাসকে বারবার শান্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের জন্য দায়ী করলেও, অনেক আন্তর্জাতিক মহল মনে করে যে ইসরায়েলই যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে বারবার বাধা দিচ্ছে। একই সঙ্গে, সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে কয়েকটি পশ্চিমা দেশের স্বীকৃতিকে তিনি হামাসের জন্য “পুরস্কার” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তার এই মন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলছে।

জাতিসংঘের অধিবেশন চলাকালীন নিউইয়র্কের রাস্তায় একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার গাড়িবহর নিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। পরে জানা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাড়িবহর একই সময়ে ঐ এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল এবং তার নিরাপত্তার কারণে অন্যান্য সড়ক আটকে দেওয়া হয়েছিল।

এই অপ্রত্যাশিত বাধা থেকে মুক্ত হতে ম্যাক্রোঁ সরাসরি ট্রাম্পকে ফোন করেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, যেমন গার্ডিয়ান, এই খবর প্রকাশ করে। এই ঘটনাটি অধিবেশনের পাশাপাশী একটি আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়, যা দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যেকার নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক প্রটোকল নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

উর্মিলা নুসরাত: স্বপ্নের পথে এক নতুন মুখ

জাতিসংঘে গাজা নিয়ে ট্রাম্পের আকস্মিক বক্তব্য এবং তার ভণ্ডামি নিয়ে প্রশ্ন

আপডেট সময় ১২:৪৫:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা বিষয়ক বক্তব্য বিশ্বজুড়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, “আমরা এটি থামাবই।” তার এই আকস্মিক বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে যেমন কৌতূহল সৃষ্টি করেছে, তেমনি তার পূর্ববর্তী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এর বৈপরীত্য নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

ট্রাম্প তার ভাষণে আরও বলেন, “আমাদের এটি সম্পন্ন করতে হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনাও করতে হবে। আমাদের বন্দিদের ফেরত আনতে হবে।” তিনি উল্লেখ করেন, গাজায় যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে ৬৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। তবে, বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিসংখ্যান বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ট্রাম্পের এই বক্তৃতাকে “ভণ্ডামি” হিসেবে দেখছে। তাদের মতে, গাজায় যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, যার মূল পৃষ্ঠপোষক স্বয়ং ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক আফ্রিকায় স্থানান্তরিত করে গাজায় আবাসিক এলাকা নির্মাণের পরিকল্পনাও তার পূর্ববর্তী শাসনামলে আলোচিত হয়েছিল।

ট্রাম্প তার বক্তব্যে হামাসকে বারবার শান্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের জন্য দায়ী করলেও, অনেক আন্তর্জাতিক মহল মনে করে যে ইসরায়েলই যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে বারবার বাধা দিচ্ছে। একই সঙ্গে, সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে কয়েকটি পশ্চিমা দেশের স্বীকৃতিকে তিনি হামাসের জন্য “পুরস্কার” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তার এই মন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলছে।

জাতিসংঘের অধিবেশন চলাকালীন নিউইয়র্কের রাস্তায় একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার গাড়িবহর নিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। পরে জানা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাড়িবহর একই সময়ে ঐ এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল এবং তার নিরাপত্তার কারণে অন্যান্য সড়ক আটকে দেওয়া হয়েছিল।

এই অপ্রত্যাশিত বাধা থেকে মুক্ত হতে ম্যাক্রোঁ সরাসরি ট্রাম্পকে ফোন করেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, যেমন গার্ডিয়ান, এই খবর প্রকাশ করে। এই ঘটনাটি অধিবেশনের পাশাপাশী একটি আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়, যা দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যেকার নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক প্রটোকল নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করে।