ঢাকা ০২:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
উর্মিলা নুসরাত: স্বপ্নের পথে এক নতুন মুখ এস এম জাহাঙ্গীরের লিফলেট বিতরণ : নিকুঞ্জে নেতাকর্মীর ঢল বালিয়াডাঙ্গীতে নির্ধারিত মূল্যের সার চড়া দামে বিক্রি : বিএডিসি সার ডিলারের গুদাম সিলগালা বিশ্বনাথে জামায়াতের উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ বরগুনায় শুরু হলো মাসব্যাপী শরৎ উৎসব কৃষকদলের শক্তি বৃদ্ধি: গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিশ্বনাথে চালকের হাত-পা বেঁ’ধে অটোরিকশা ছি/ন/তা/ই, দুইজন গ্রে’প্তা’র গণতন্ত্রের সৈনিক মো: আব্বাস আলী: ত্যাগ ও সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক যুগ যুগ ধরে অবহেলা আর বঞ্চনায় বন্দি জেলখানা গ্রামের মানুষ পাহাড়ে মিষ্টি কুমড়ার ঝলক ! কৃষকের মুখে হাসি

রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত সেতু ডুবে থাকায় পর্যটন খাতে মন্দাভাব

প্রাকৃতিক বহু রূপের সমাহার খ্যাত পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। তিন পার্বত্য (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) জেলার মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময়ী রাঙামাটি অঞ্চল দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট হিসেবে আলাদা সুখ্যাতি রয়েছে।

তবে কয়েকমাস ধরে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে থাকায় এ জেলার পর্যটন ব্যবসায় চরম ভাবে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। ট্যুরিস্ট বোটগুলোতে ট্যুরিস্ট নেই, স্থানীয় টেক্সটাইল ব্যবসায় নেমেছে ধস, হোটেল-মোটেলগুলোতে আশানুরূপ পর্যটক নেই বললে চলে।

জানা গেছে, রাঙামাটিতে প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখের অধিক পর্যটকের সমাগম ঘটে। আগত এ সকল পর্যটকদের কাছ থেকে ঝুলন্ত সেতুতে জনপ্রতি প্রবেশ ফি-২০টাকা করে নেওয়া হয়। বছরে ঝুলন্ত সেতু দেখতে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে বছরে পর্যটন করপোরেশন আয় করে কোটি টাকা। তবে গত দু’মাস ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে থাকায় প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে পর্যটন করপোরেশন। ঝুলন্ত সেতু ডুবে থাকার কারণে তাদের কটেজগুলোতে পর্যটক না আসায় চরম মন্দাভাব চলছে।

টানা বৃষ্টি, উজান উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে রাঙামাটির নিম্নাঞ্চলগুলো হ্রদের পানিতে তলিয়ে যায়। সেই সাথে ডুবে যায় ঝুলন্ত সেতু।

হোটেল-মোটেল মালিকরা বলছেন, তাদের হোটেলগুরেলাতে আশানুরূপ পর্যটক নেই। পর্যটন মৌসুমের সময়ও তাদের ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে।

রাঙামাটি ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রমজান আলী বলেন, এখন ট্যুরিস্ট আসার মৌসুম। কিন্তু ঝুলন্ত সেতু ডুবে থাকায় ট্যুরিস্টরা রাঙামাটি আসছেন না। ট্যুরিস্ট বোট মালিকরা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, বোট চালকরা বেকার সময় পার করছেন।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ম্যানেজার আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ঝুলন্ত সেতু ডুবে থাকায় গত দু’মাস ধরে পর্যটক সমাগম কমে গেছে। হ্রদের পানি কমে গেলে আবারো পর্যটক সমাগম বাড়বে বলে জানান তিনি।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে ১০৮ফুটের বেশি পানি রয়েছে।

এদিকে হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো ডুবে রয়েছে। কৃষি জমিগুলো ডুবে থাকায় আমন ধানের চাষ করতে পারছে না কৃষকরা।

রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও পর্যটন বিষয়ক আহবায়ক মো. হাবিব আজম বলেন, রাঙামাটির পর্যখাতের উন্নয়নে দেড়শো কোটি টাকা বরাদ্ধ প্রদান করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পট উন্নয়ন করতে এ বাজেট প্রদান করা হয়েছে। আশাকরছি কয়েক বছরের মধ্যে রাঙামাটি পর্যটক খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।

রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার বলেন, পর্যটন খাতের উন্নয়নে জেলা পরিষদ কাজ করছে। ঝুলন্ত সেতুটি সংস্কার নিয়ে কি করা যায় না নিয়ে আলোচনা চলছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

উর্মিলা নুসরাত: স্বপ্নের পথে এক নতুন মুখ

রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত সেতু ডুবে থাকায় পর্যটন খাতে মন্দাভাব

আপডেট সময় ০৬:২৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রাকৃতিক বহু রূপের সমাহার খ্যাত পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। তিন পার্বত্য (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) জেলার মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময়ী রাঙামাটি অঞ্চল দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট হিসেবে আলাদা সুখ্যাতি রয়েছে।

তবে কয়েকমাস ধরে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে থাকায় এ জেলার পর্যটন ব্যবসায় চরম ভাবে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। ট্যুরিস্ট বোটগুলোতে ট্যুরিস্ট নেই, স্থানীয় টেক্সটাইল ব্যবসায় নেমেছে ধস, হোটেল-মোটেলগুলোতে আশানুরূপ পর্যটক নেই বললে চলে।

জানা গেছে, রাঙামাটিতে প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখের অধিক পর্যটকের সমাগম ঘটে। আগত এ সকল পর্যটকদের কাছ থেকে ঝুলন্ত সেতুতে জনপ্রতি প্রবেশ ফি-২০টাকা করে নেওয়া হয়। বছরে ঝুলন্ত সেতু দেখতে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে বছরে পর্যটন করপোরেশন আয় করে কোটি টাকা। তবে গত দু’মাস ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে থাকায় প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে পর্যটন করপোরেশন। ঝুলন্ত সেতু ডুবে থাকার কারণে তাদের কটেজগুলোতে পর্যটক না আসায় চরম মন্দাভাব চলছে।

টানা বৃষ্টি, উজান উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে রাঙামাটির নিম্নাঞ্চলগুলো হ্রদের পানিতে তলিয়ে যায়। সেই সাথে ডুবে যায় ঝুলন্ত সেতু।

হোটেল-মোটেল মালিকরা বলছেন, তাদের হোটেলগুরেলাতে আশানুরূপ পর্যটক নেই। পর্যটন মৌসুমের সময়ও তাদের ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে।

রাঙামাটি ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রমজান আলী বলেন, এখন ট্যুরিস্ট আসার মৌসুম। কিন্তু ঝুলন্ত সেতু ডুবে থাকায় ট্যুরিস্টরা রাঙামাটি আসছেন না। ট্যুরিস্ট বোট মালিকরা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, বোট চালকরা বেকার সময় পার করছেন।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ম্যানেজার আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ঝুলন্ত সেতু ডুবে থাকায় গত দু’মাস ধরে পর্যটক সমাগম কমে গেছে। হ্রদের পানি কমে গেলে আবারো পর্যটক সমাগম বাড়বে বলে জানান তিনি।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে ১০৮ফুটের বেশি পানি রয়েছে।

এদিকে হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো ডুবে রয়েছে। কৃষি জমিগুলো ডুবে থাকায় আমন ধানের চাষ করতে পারছে না কৃষকরা।

রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও পর্যটন বিষয়ক আহবায়ক মো. হাবিব আজম বলেন, রাঙামাটির পর্যখাতের উন্নয়নে দেড়শো কোটি টাকা বরাদ্ধ প্রদান করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পট উন্নয়ন করতে এ বাজেট প্রদান করা হয়েছে। আশাকরছি কয়েক বছরের মধ্যে রাঙামাটি পর্যটক খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।

রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার বলেন, পর্যটন খাতের উন্নয়নে জেলা পরিষদ কাজ করছে। ঝুলন্ত সেতুটি সংস্কার নিয়ে কি করা যায় না নিয়ে আলোচনা চলছে।