
ফরিদপুর শহরে মাহিন্দ্র শ্রমিকদের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান লিমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল ১১টার দিকে তাকে আটক করা হয়, তবে বিকেলে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানা গেছে, লিমন মামলার ৭নং আসামি ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। উভয়পক্ষের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব এবং যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত ছিল, কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছিলেন। জেলা যুবদলের নেতারা দাবি করছেন, লিমন এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত নন এবং আদালতের জামিন প্রদানে এটি প্রমাণিত হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এখনও চলমান এবং যারা সংঘর্ষে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফরিদপুর শহরে এ ধরনের ঘটনার প্রভাব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় জনগণ এবং শ্রমিকদের মধ্যে যথেষ্ট উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আশ্বাস দিয়েছে, উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারা সর্বোচ্চ পর্যায়ের তৎপরতা বজায় রাখবে। তবে স্থানীয় সচেতন মহল বলছে এই ঘটনার সময় লিমন তার গ্রামের বাড়িতে ছিলো। বিজ্ঞ আদালতে আইনজীবীদের সঠিক তথ্য প্রমান সহকারে উপস্থাপন করায় বিজ্ঞ আদালত লিমনের জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে স্থানীয়রা বলছেন আওয়ামী লীগের আমলে যারা এই স্থান অবৈধ ভাবে দখলে ছিলো এখনো তারা সেই ভাবেই রয়েছে। শ্রমিকেরা এখনো মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না আওয়ামী দস্যুদের ভয়ে। ফরিদপুরে এক সময় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা মোকাররম মিয়া বাবুর আপন সোহোদর ভাই বর্তমানে মাহেন্দ্রা মালিক সমিতির সভাপতি, এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী দোসর হাকিম মিয়া। এতে থেকে বুঝা যায় পুরা মহেন্দ্র ব্যবসা পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগের লোকজন। শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভ এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। আসলে এদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে যুবদল নেতা লিমনের উপরে এ সকল মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।