
বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড-এর উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মাওলানা মিজানুর রহমান নোমানী বলেন, আগামী প্রজন্মকে নৈতিকতা সম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে কুরআন শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং কুরআন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সন্ত্রাস, দূর্নীতি ও মাদকমুক্ত আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। নৈতিক শিক্ষা মানুষের জীবনে এক আলোকবর্তিকা স্বরূপ। এটি কেবল একটি জ্ঞানার্জন প্রক্রিয়া নয়, বরং উন্নত চরিত্র গঠন এবং সঠিক পথে জীবন চালনার অপরিহার্য ভিত্তি। নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি একটি সহানুভূতিশীল ও দায়িত্বশীল সমাজ গঠনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। আর কুরআন হলো পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট গ্রন্থ। কোমলমতি শিশুদেরকে শিক্ষার শুরু থেকেই যদি কুরআন শিক্ষার মাধ্যমে নৈতিক ও মূল্যবোধ সম্পন্ন করে গড়ে তোলা যায়, তাহলে তারা অনৈতিক, রাষ্ট্র-সমাজ ও আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকবে।
কিশোর গ্যাং, মাদক সেবী ও ইভটিজার তৈরি হবে না। দেশে নৈরাজ্যকর অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হবে না।
আজ ০৪ সেপ্টেম্বর’২৫ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর দারুস সালামস্থ একটি মিলনায়াতনে বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত “তা’লীমি জোড়” (শিক্ষক প্রশিক্ষণ) এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মুফতী আবুল কালাম আজাদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মুফতী মোঃ মাছউদুর রহমান এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি শায়খুল হাদীস মুফতি জামাল উদ্দিন পিরোজপুরী, মাওলানা মিজানুর রহমান মাদারীপুরী, মুফতি আবু সাঈদ সিদ্দিকী, মাওলানা গাজী আসাদুল্লাহ গালিব, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা আল আমিন, হাফেজ বশির আল হাবিব, মাওলানা রেজাউল করীম প্রমুখ।