ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
সিংগাইরে উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা অমন্তসেন তঞ্চঙ্গ্যার হ/ত্যা/কারী পুলিশের হাতে গ্রে’ফতার গলাচিপার ভাঙরা গ্রামে নদী ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে মানববন্ধন বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসার উদ্যোগ নিয়েছেন “পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ” সদস্য কে এস মং সাতক্ষীরার একমাত্র কমিউনিটি রেডিও নলতা ৯৯.২ এর সংবাদ কর্মীদের সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ার ধুনটে যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙনে দুশ্চিন্তায় শিমুলবাড়ি গ্ৰ্যামের নদীপাড়ের মানুষ  বগুড়ায় সাংবাদিক প্রশিক্ষণ সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত  ধুনটে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে ৫ ফার্মেসিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা শিক্ষিত জাতি গড়লেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সম্ভব: এম কফিল উদ্দিন আহমেদ বিশ্বনাথে এক ড্রাইভারকে হত্যার চেষ্টা করে ছিনতাইয়ের নাটক সাজালেন ব্যবসায়ী

চলনবিলের পাকা তাল; গ্রাম থেকে শহরে আনন্দের বর্ষা

চলনবিলাঞ্চলের বিস্তৃত জলাভূমি ও উর্বর মাটির কোলে প্রতিটি বর্ষা মৌসুমে উদ্ভাসিত হয় এক প্রাকৃতিক সম্পদ—তাল। বিশেষ করে তাড়াশ উপজেলা দীর্ঘকাল ধরে তালের জন্য বিখ্যাত। এ অঞ্চলের রাস্তাঘাট, পুকুরপাড়, বাড়ির আঙিনা এবং পতিত জমি যেন তালগাছের বনেই পরিণত হয়েছে। শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে এই তাল বিশেষভাবে পাকে, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও স্বাদ বাঙালির গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে আছে।

আশ্চর্যজনকভাবে, এই তালগাছ বেড়ে ওঠার জন্য তেমন কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। এই অঞ্চলের গবাদিপশু, যেমন গরু বা ছাগল,ও তালগাছের কোনো ক্ষতি করতে পারে না। ফলে এই সময়ে চলনবিলে পাকা তাল খুব সহজে পাওয়া যায়, যা গ্রামের প্রতিটি পরিবারের জীবনে এক আনন্দের উৎস হয়ে দাঁড়ায়।

এই প্রাকৃতিক উপহার শুধু গ্রামীণ জীবনকেই সমৃদ্ধ করছে না, বরং বাণিজ্যিক সম্ভাবনারও এক উজ্জ্বল দিক তুলে ধরছে। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের পাকা তাল শহরের বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে। গ্রামের গৃহস্থরা বাড়িতে নানান ধরনের পিঠা-পুলি, ক্ষীরসা, পায়েস, তালের পিঠিতালের বড়া তৈরি করেন। আত্মীয়-স্বজন এবং জামাইদের আপ্যায়নের জন্য এটি বাঙালির সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

মহিষলুটি বাজারের তালের ব্যবসায়ী ইয়াকুব আকন্দ জানান, স্থানীয়ভাবে পাকা তাল আকারভেদে প্রতি পিস ৫ থেকে ২০ টাকায় কেনা যায়। শহরের বাজারে তা বিক্রি করে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি সরাসরি গাছ থেকে তাল সংগ্রহ করা যায়, তবে ব্যবসায়িক লাভ আরও অনেক বাড়ে।

চলনবিলের এই প্রাকৃতিক সম্পদ শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক দিক থেকেও অনন্য। গ্রামীণ জীবনের আনন্দ আর অতিথিসেবার ঐতিহ্যকে এই তাল আরও সমৃদ্ধ করে তোলে। এ যেন বর্ষার বৃষ্টির মতো, যা শুধু মাটিকে সজীব করে না, মানুষের হৃদয়কেও ভরে তোলে আনন্দ আর মধুর স্মৃতিতে।

আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

সিংগাইরে উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা

চলনবিলের পাকা তাল; গ্রাম থেকে শহরে আনন্দের বর্ষা

আপডেট সময় ০১:৩১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

চলনবিলাঞ্চলের বিস্তৃত জলাভূমি ও উর্বর মাটির কোলে প্রতিটি বর্ষা মৌসুমে উদ্ভাসিত হয় এক প্রাকৃতিক সম্পদ—তাল। বিশেষ করে তাড়াশ উপজেলা দীর্ঘকাল ধরে তালের জন্য বিখ্যাত। এ অঞ্চলের রাস্তাঘাট, পুকুরপাড়, বাড়ির আঙিনা এবং পতিত জমি যেন তালগাছের বনেই পরিণত হয়েছে। শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে এই তাল বিশেষভাবে পাকে, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও স্বাদ বাঙালির গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে আছে।

আশ্চর্যজনকভাবে, এই তালগাছ বেড়ে ওঠার জন্য তেমন কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। এই অঞ্চলের গবাদিপশু, যেমন গরু বা ছাগল,ও তালগাছের কোনো ক্ষতি করতে পারে না। ফলে এই সময়ে চলনবিলে পাকা তাল খুব সহজে পাওয়া যায়, যা গ্রামের প্রতিটি পরিবারের জীবনে এক আনন্দের উৎস হয়ে দাঁড়ায়।

এই প্রাকৃতিক উপহার শুধু গ্রামীণ জীবনকেই সমৃদ্ধ করছে না, বরং বাণিজ্যিক সম্ভাবনারও এক উজ্জ্বল দিক তুলে ধরছে। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের পাকা তাল শহরের বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে। গ্রামের গৃহস্থরা বাড়িতে নানান ধরনের পিঠা-পুলি, ক্ষীরসা, পায়েস, তালের পিঠিতালের বড়া তৈরি করেন। আত্মীয়-স্বজন এবং জামাইদের আপ্যায়নের জন্য এটি বাঙালির সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

মহিষলুটি বাজারের তালের ব্যবসায়ী ইয়াকুব আকন্দ জানান, স্থানীয়ভাবে পাকা তাল আকারভেদে প্রতি পিস ৫ থেকে ২০ টাকায় কেনা যায়। শহরের বাজারে তা বিক্রি করে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি সরাসরি গাছ থেকে তাল সংগ্রহ করা যায়, তবে ব্যবসায়িক লাভ আরও অনেক বাড়ে।

চলনবিলের এই প্রাকৃতিক সম্পদ শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক দিক থেকেও অনন্য। গ্রামীণ জীবনের আনন্দ আর অতিথিসেবার ঐতিহ্যকে এই তাল আরও সমৃদ্ধ করে তোলে। এ যেন বর্ষার বৃষ্টির মতো, যা শুধু মাটিকে সজীব করে না, মানুষের হৃদয়কেও ভরে তোলে আনন্দ আর মধুর স্মৃতিতে।