
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার অন্তর্গত আমখোলা ইউনিয়নের ভাংরা গ্রামে আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) নদী ভাঙ্গন রোদে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এই গ্রামটি ভয়াবহ নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হওয়ার পথে। প্রতিদিনই ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় গ্রামটি ধীরে ধীরে নদীর গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয় শত শত মানুষ।
মানববন্ধনটি আমখোলা লঞ্চ ঘাট টার্মিনাল থেকে মশুরীখাটি পর্যন্ত মহাসড়কে পায়ে হেঁটে হেঁটে পালন করা হয়। মানববন্ধনটি পুরো আমখোলা বন্দরে প্রধান সড়ক ঘুরে মসুরি কাঠি দিয়ে শেষ হয়। এতে নারী-পুরুষ, শিক্ষার্থী, কৃষক, জেলে ও ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করে। তারা দাবি জানান, অবিলম্বে নদী ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, নাহলে ভাংরা গ্রাম মানচিত্র থেকে মুছে যাবে।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙন নিয়ে আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কিন্তু কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। শুধুমাত্র আশ্বাসে দিন যাচ্ছে, অথচ প্রতিদিনই আমরা ভিটেমাটি হারাচ্ছি।” তারা আরও বলেন, “যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হয় তবে শত শত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়বে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মাদ্রাসাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও নদীতে তলিয়ে যাবে।”
স্থানীয়রা জানান, নদীর পাড় রক্ষায় জিওব্যাগ ফেলা কিংবা স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। অতি দ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগ না নিলে গ্রামটি পুরোপুরি বিলীন হয়ে যাবে।
মানববন্ধনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এক কৃষক বলেন, “আমরা এক ফসলি জমিতে ফসল ফলিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু নদী ভাঙনে জমি সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। কোথায় যাব আমরা?” আরেকজন স্কুলশিক্ষার্থী জানায়, তাদের স্কুল নদীতে ধসে পড়ার শঙ্কায় তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী প্রশাসনের নিকট লিখিত দাবি পেশ করে দ্রুত স্থায়ী সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।