ঢাকা ০৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
সিংগাইরে উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা অমন্তসেন তঞ্চঙ্গ্যার হ/ত্যা/কারী পুলিশের হাতে গ্রে’ফতার গলাচিপার ভাঙরা গ্রামে নদী ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে মানববন্ধন বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসার উদ্যোগ নিয়েছেন “পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ” সদস্য কে এস মং সাতক্ষীরার একমাত্র কমিউনিটি রেডিও নলতা ৯৯.২ এর সংবাদ কর্মীদের সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ার ধুনটে যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙনে দুশ্চিন্তায় শিমুলবাড়ি গ্ৰ্যামের নদীপাড়ের মানুষ  বগুড়ায় সাংবাদিক প্রশিক্ষণ সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত  ধুনটে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে ৫ ফার্মেসিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা শিক্ষিত জাতি গড়লেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সম্ভব: এম কফিল উদ্দিন আহমেদ বিশ্বনাথে এক ড্রাইভারকে হত্যার চেষ্টা করে ছিনতাইয়ের নাটক সাজালেন ব্যবসায়ী

গলাচিপার ভাঙরা গ্রামে নদী ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে মানববন্ধন

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার অন্তর্গত আমখোলা ইউনিয়নের ভাংরা গ্রামে আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) নদী ভাঙ্গন রোদে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এই গ্রামটি ভয়াবহ নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হওয়ার পথে। প্রতিদিনই ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় গ্রামটি ধীরে ধীরে নদীর গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয় শত শত মানুষ।

মানববন্ধনটি আমখোলা লঞ্চ ঘাট টার্মিনাল থেকে মশুরীখাটি পর্যন্ত মহাসড়কে পায়ে হেঁটে হেঁটে পালন করা হয়। মানববন্ধনটি পুরো আমখোলা বন্দরে প্রধান সড়ক ঘুরে মসুরি কাঠি দিয়ে শেষ হয়। এতে নারী-পুরুষ, শিক্ষার্থী, কৃষক, জেলে ও ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করে। তারা দাবি জানান, অবিলম্বে নদী ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, নাহলে ভাংরা গ্রাম মানচিত্র থেকে মুছে যাবে।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙন নিয়ে আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কিন্তু কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। শুধুমাত্র আশ্বাসে দিন যাচ্ছে, অথচ প্রতিদিনই আমরা ভিটেমাটি হারাচ্ছি।” তারা আরও বলেন, “যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হয় তবে শত শত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়বে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মাদ্রাসাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও নদীতে তলিয়ে যাবে।”

স্থানীয়রা জানান, নদীর পাড় রক্ষায় জিওব্যাগ ফেলা কিংবা স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। অতি দ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগ না নিলে গ্রামটি পুরোপুরি বিলীন হয়ে যাবে।

মানববন্ধনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এক কৃষক বলেন, “আমরা এক ফসলি জমিতে ফসল ফলিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু নদী ভাঙনে জমি সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। কোথায় যাব আমরা?” আরেকজন স্কুলশিক্ষার্থী জানায়, তাদের স্কুল নদীতে ধসে পড়ার শঙ্কায় তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী প্রশাসনের নিকট লিখিত দাবি পেশ করে দ্রুত স্থায়ী সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

সিংগাইরে উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা

গলাচিপার ভাঙরা গ্রামে নদী ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৯:০৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার অন্তর্গত আমখোলা ইউনিয়নের ভাংরা গ্রামে আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) নদী ভাঙ্গন রোদে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এই গ্রামটি ভয়াবহ নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হওয়ার পথে। প্রতিদিনই ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় গ্রামটি ধীরে ধীরে নদীর গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয় শত শত মানুষ।

মানববন্ধনটি আমখোলা লঞ্চ ঘাট টার্মিনাল থেকে মশুরীখাটি পর্যন্ত মহাসড়কে পায়ে হেঁটে হেঁটে পালন করা হয়। মানববন্ধনটি পুরো আমখোলা বন্দরে প্রধান সড়ক ঘুরে মসুরি কাঠি দিয়ে শেষ হয়। এতে নারী-পুরুষ, শিক্ষার্থী, কৃষক, জেলে ও ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করে। তারা দাবি জানান, অবিলম্বে নদী ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, নাহলে ভাংরা গ্রাম মানচিত্র থেকে মুছে যাবে।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙন নিয়ে আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কিন্তু কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। শুধুমাত্র আশ্বাসে দিন যাচ্ছে, অথচ প্রতিদিনই আমরা ভিটেমাটি হারাচ্ছি।” তারা আরও বলেন, “যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হয় তবে শত শত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়বে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মাদ্রাসাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও নদীতে তলিয়ে যাবে।”

স্থানীয়রা জানান, নদীর পাড় রক্ষায় জিওব্যাগ ফেলা কিংবা স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। অতি দ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগ না নিলে গ্রামটি পুরোপুরি বিলীন হয়ে যাবে।

মানববন্ধনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এক কৃষক বলেন, “আমরা এক ফসলি জমিতে ফসল ফলিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু নদী ভাঙনে জমি সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। কোথায় যাব আমরা?” আরেকজন স্কুলশিক্ষার্থী জানায়, তাদের স্কুল নদীতে ধসে পড়ার শঙ্কায় তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী প্রশাসনের নিকট লিখিত দাবি পেশ করে দ্রুত স্থায়ী সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।