ঢাকা ০৯:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন ২৭ বছর বয়সী দ্যুতি অরণ্য প্রীতি চৌধুরী ক্যাম্পাসে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায়: জাবিতে রাত ১০টার পর সব ধরনের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ মালদ্বীপে দুই বছরে ৯ হাজারের বেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে হাফ ভাড়া নিয়ে শ্রমিক-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ : অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর আল্লাহর ওপর আস্থা পুনর্বহাল করবে বিএনপি : খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিনের প্রতিশ্রুতি রায়গঞ্জে সরকারি সার অতিরিক্ত দামে বিক্রির অভিযোগ যুবলীগ নেতার নিখোঁজ সন্তানের মরদেহ নদীতে উদ্ধার ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৯২ হাতিরঝিলে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে আগুন বাসচাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত, সড়ক অবরোধ করে বাসে আগুন দিল জনতা
শুভ্র সাদা বিশাল আকৃতির এক ঝিনুক

ঝিনুকের আদলে কক্সবাজারে তৈরি হচ্ছে বিশাল আইকনিক স্টেশন ।

বিশাল আইকনিক স্টেশন

কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি তৈরি হচ্ছে দেশের বৃহৎ ও দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন। অনেকটা ঝিনুকের আদলে হবে স্টেশনটি। এটিকে বলা হচ্ছে, এশিয়ার বৃহৎ রেলস্টেশনের একটি। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ভবনটির মূল কাঠামোর নির্মাণকাজ। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রেল চলাচলের লক্ষ্য সংশ্লিষ্টদের।

শুভ্র সাদা বিশাল আকৃতির এক ঝিনুক। এর ভেতরে আসা যাওয়া করছে ট্রেন। এমন দৃশ্য বাস্তব হতে চলেছে সৈকত শহর কক্সবাজারে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশন এটি।

আইকনিক স্টেশনের সামনে থাকবে ঝিনুক আকৃতির দৃষ্টিনন্দন একটি ফোয়ারা। তার চারপাশে পড়ছে স্বচ্ছ জলরাশি। আর শব্দ করে আসছে ট্রেন। যাত্রীরা ঝিনুক ফোয়ারা দিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করছেন। তারপর চলন্ত সিঁড়ির মাধ্যমে তারা সেতু হয়ে উঠছেন ট্রেনে। আবার ট্রেন থেকে নেমে অন্য পথে বেরিয়ে যাত্রীরা পা বাড়াচ্ছেন সৈকত শহরে। এ জন্য থাকছে গমন ও বহির্গমনের দুটি সড়ক। থাকছে গাড়ি পার্কিংয়ের তিনটি বড় জায়গাও।

রয়েছে ৮০ ফুট লম্বা দীর্ঘ সেতু। এর সঙ্গে যুক্ত পৃথক তিনটি চলন্ত সিঁড়ি। বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। একই সঙ্গে রয়েছে তিনটি প্ল্যাটফর্ম।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নির্মাণাধীন এ আইকনিক স্টেশন ভবনের নিচতলায় থাকছে টিকিট কাউন্টার, স্বাগত জানানো কক্ষ, লকার, তথ্যকেন্দ্র, মসজিদ, শিশুদের বিনোদনের জায়গা, প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ ও যাত্রীদের সেতুতে যাতায়াতের পথ। আর দ্বিতীয় তলায় শপিংমল, শিশু যত্ন কেন্দ্র, রেস্তোরাঁসহ নানা জিনিস। তৃতীয় তলায় ৩৯ কক্ষের তারকা মানের হোটেল, চতুর্থ তলায় রেস্তোরাঁ, কনফারেন্স হল ও কর্মকর্তাদের কার্যালয়।

রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজারে এসে পর্যটকরা লাগেজ, মালামাল স্টেশনে রাখতে পারবেন। সারাদিন সমুদ্র সৈকত বা পর্যটন স্পট ঘুরে রাতের ট্রেনে আবার ফিরতে পারবেন গন্তব্যে।

আইকনিক রেলস্টেশনটি ২৯ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠছে। ৬ তলা স্টেশন ভবনটি তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ২১৫ কোটি টাকা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন ২৭ বছর বয়সী দ্যুতি অরণ্য প্রীতি চৌধুরী

শুভ্র সাদা বিশাল আকৃতির এক ঝিনুক

ঝিনুকের আদলে কক্সবাজারে তৈরি হচ্ছে বিশাল আইকনিক স্টেশন ।

আপডেট সময় ১২:২৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২

কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি তৈরি হচ্ছে দেশের বৃহৎ ও দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন। অনেকটা ঝিনুকের আদলে হবে স্টেশনটি। এটিকে বলা হচ্ছে, এশিয়ার বৃহৎ রেলস্টেশনের একটি। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ভবনটির মূল কাঠামোর নির্মাণকাজ। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রেল চলাচলের লক্ষ্য সংশ্লিষ্টদের।

শুভ্র সাদা বিশাল আকৃতির এক ঝিনুক। এর ভেতরে আসা যাওয়া করছে ট্রেন। এমন দৃশ্য বাস্তব হতে চলেছে সৈকত শহর কক্সবাজারে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশন এটি।

আইকনিক স্টেশনের সামনে থাকবে ঝিনুক আকৃতির দৃষ্টিনন্দন একটি ফোয়ারা। তার চারপাশে পড়ছে স্বচ্ছ জলরাশি। আর শব্দ করে আসছে ট্রেন। যাত্রীরা ঝিনুক ফোয়ারা দিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করছেন। তারপর চলন্ত সিঁড়ির মাধ্যমে তারা সেতু হয়ে উঠছেন ট্রেনে। আবার ট্রেন থেকে নেমে অন্য পথে বেরিয়ে যাত্রীরা পা বাড়াচ্ছেন সৈকত শহরে। এ জন্য থাকছে গমন ও বহির্গমনের দুটি সড়ক। থাকছে গাড়ি পার্কিংয়ের তিনটি বড় জায়গাও।

রয়েছে ৮০ ফুট লম্বা দীর্ঘ সেতু। এর সঙ্গে যুক্ত পৃথক তিনটি চলন্ত সিঁড়ি। বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। একই সঙ্গে রয়েছে তিনটি প্ল্যাটফর্ম।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নির্মাণাধীন এ আইকনিক স্টেশন ভবনের নিচতলায় থাকছে টিকিট কাউন্টার, স্বাগত জানানো কক্ষ, লকার, তথ্যকেন্দ্র, মসজিদ, শিশুদের বিনোদনের জায়গা, প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ ও যাত্রীদের সেতুতে যাতায়াতের পথ। আর দ্বিতীয় তলায় শপিংমল, শিশু যত্ন কেন্দ্র, রেস্তোরাঁসহ নানা জিনিস। তৃতীয় তলায় ৩৯ কক্ষের তারকা মানের হোটেল, চতুর্থ তলায় রেস্তোরাঁ, কনফারেন্স হল ও কর্মকর্তাদের কার্যালয়।

রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজারে এসে পর্যটকরা লাগেজ, মালামাল স্টেশনে রাখতে পারবেন। সারাদিন সমুদ্র সৈকত বা পর্যটন স্পট ঘুরে রাতের ট্রেনে আবার ফিরতে পারবেন গন্তব্যে।

আইকনিক রেলস্টেশনটি ২৯ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠছে। ৬ তলা স্টেশন ভবনটি তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ২১৫ কোটি টাকা।