
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গাইবান্ধা জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম মনিরুজ্জামান সবুজ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে কমিটি ঘোষণার পরদিনই দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি নিজের স্বাক্ষরিত পদত্যাগপত্র এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেন।
পদত্যাগপত্রে এনসিপির এই নেতা উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঘোষিত গাইবান্ধা জেলার ‘সংশোধিত আহ্বায়ক কমিটি’ পর্যালোচনা করে তিনি গভীর হতাশা ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করেছেন যে—এই কমিটি গঠনের পুরো প্রক্রিয়া ছিল অস্বচ্ছ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দলীয় আদর্শের সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগপন্থী প্রভাবশালী মহলের দোসর, সুবিধাবাদী চরিত্র, ‘সয়াবিন রাজনীতির প্রতিনিধি’সহ একাধিক বিতর্কিত ব্যক্তিকে অযৌক্তিকভাবে পদ-পদবি দেওয়া হয়েছে; যা এনসিপির ত্যাগী ও প্রকৃত কর্মীদের সরাসরি অবমূল্যায়ন করেছে। তিনি আরও দাবি করেন, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে, তদবির ও প্রভাব খাটানোর মাধ্যমেই এই কমিটি বাস্তবায়িত হয়েছে বলে নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে। ফলে পুরো কমিটি ‘জোকারসুলভ’ এবং দলীয় আদর্শবিরোধী ব্যক্তিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
এস এম মনিরুজ্জামান সবুজ বলেন, তিনি নীতি, আদর্শ এবং সংগঠনকে ভালোবাসলেও অনিয়ম, আপসকামী রাজনীতি ও দলে অনুপ্রবেশকারীদের প্রভাবের সঙ্গে কোনো অবস্থাতেই আপস করতে পারেন না। তিনি স্পষ্ট জানান যে এই অগণতান্ত্রিক, অস্বচ্ছ ও বিতর্কিত সংশোধিত কমিটির সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক বা নৈতিক কোনো সম্পর্ক রাখা সম্ভব নয়। পদত্যাগপত্রে তিনি অবিলম্বে, সম্পূর্ণভাবে এবং স্বেচ্ছায় এনসিপি গাইবান্ধা জেলা আহ্বায়ক কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং জানান যে এই কমিটির সঙ্গে তাঁর আর কোনো সাংগঠনিক সম্পৃক্ততা থাকবে না।
গাইবান্ধা প্রতিনিধি : 


















