ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
উর্মিলা নুসরাত: স্বপ্নের পথে এক নতুন মুখ এস এম জাহাঙ্গীরের লিফলেট বিতরণ : নিকুঞ্জে নেতাকর্মীর ঢল বালিয়াডাঙ্গীতে নির্ধারিত মূল্যের সার চড়া দামে বিক্রি : বিএডিসি সার ডিলারের গুদাম সিলগালা বিশ্বনাথে জামায়াতের উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ বরগুনায় শুরু হলো মাসব্যাপী শরৎ উৎসব কৃষকদলের শক্তি বৃদ্ধি: গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিশ্বনাথে চালকের হাত-পা বেঁ’ধে অটোরিকশা ছি/ন/তা/ই, দুইজন গ্রে’প্তা’র গণতন্ত্রের সৈনিক মো: আব্বাস আলী: ত্যাগ ও সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক যুগ যুগ ধরে অবহেলা আর বঞ্চনায় বন্দি জেলখানা গ্রামের মানুষ পাহাড়ে মিষ্টি কুমড়ার ঝলক ! কৃষকের মুখে হাসি

আবারও ধসে পড়ল জৈনা বাজার – কাওরাইদ বেইলি সেতু

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার–কাওরাইদ আঞ্চলিক সড়কের মাটিকাটা নদীর ওপর চৌধুরী ঘাট এলাকার বেইলি সেতুটি আবারও ভেঙে পড়েছে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বালুবাহী একটি ট্রাক সেতুটি পার হওয়ার সময় হঠাৎ ভেঙে পড়লে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং চরম ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ইতোমধ্যে অন্তত ৩০ বার এটি ভেঙেছে। প্রতিবারই সাময়িক মেরামতের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করা হলেও স্থায়ী সমাধান নেওয়া হয়নি।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা লাল নিশান টাঙিয়ে সড়ক বন্ধ করে সতর্কবার্তা দেন। এতে সকাল থেকেই যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সাধারণ মানুষকে বিকল্প পথে ঘুরে যেতে হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুল শেখ বলেন, ‘আজ সকালে বালুবাহী একটি ট্রাক সেতু পার হওয়ার সময় সেটি ভেঙে পড়ে।’

কাওরাইদ ২ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আবদুল মজিদ জানান, ‘ঘটনার পরপরই ইঞ্জিনিয়ার অফিসে খবর দেওয়া হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’

সেতুটির পাশে গাজীপুর নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রতিনিয়ত ভারী ট্রাক চলাচল করায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সাইদুল হক খোকন বলেন, ‘রাতের আঁধারে ভারী বালুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সকাল থেকে অন্তত দুই কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু দিয়েই প্রতিদিন হাজারো মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে। অথচ এখনো স্থায়ী সেতুর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি এবং ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

উর্মিলা নুসরাত: স্বপ্নের পথে এক নতুন মুখ

আবারও ধসে পড়ল জৈনা বাজার – কাওরাইদ বেইলি সেতু

আপডেট সময় ০৫:৫৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার–কাওরাইদ আঞ্চলিক সড়কের মাটিকাটা নদীর ওপর চৌধুরী ঘাট এলাকার বেইলি সেতুটি আবারও ভেঙে পড়েছে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বালুবাহী একটি ট্রাক সেতুটি পার হওয়ার সময় হঠাৎ ভেঙে পড়লে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং চরম ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ইতোমধ্যে অন্তত ৩০ বার এটি ভেঙেছে। প্রতিবারই সাময়িক মেরামতের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করা হলেও স্থায়ী সমাধান নেওয়া হয়নি।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা লাল নিশান টাঙিয়ে সড়ক বন্ধ করে সতর্কবার্তা দেন। এতে সকাল থেকেই যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সাধারণ মানুষকে বিকল্প পথে ঘুরে যেতে হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুল শেখ বলেন, ‘আজ সকালে বালুবাহী একটি ট্রাক সেতু পার হওয়ার সময় সেটি ভেঙে পড়ে।’

কাওরাইদ ২ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আবদুল মজিদ জানান, ‘ঘটনার পরপরই ইঞ্জিনিয়ার অফিসে খবর দেওয়া হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’

সেতুটির পাশে গাজীপুর নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রতিনিয়ত ভারী ট্রাক চলাচল করায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সাইদুল হক খোকন বলেন, ‘রাতের আঁধারে ভারী বালুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সকাল থেকে অন্তত দুই কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু দিয়েই প্রতিদিন হাজারো মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে। অথচ এখনো স্থায়ী সেতুর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি এবং ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’