
বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায় মসজিদের ইমামকে তুলে নিয়ে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে শেরপুর থানা পুলিশ। গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া বটতলা এলাকা থেকে ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, ১১ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেরপুর উপজেলার শেরুয়া দহপাড়া করতোয়া জামে মসজিদের ইমাম নুর মোহাম্মদ (৫৫) কে মসজিদের সামনে থেকে ডেকে নিয়ে যায় একদল দুর্বৃত্ত। পরে শেরুয়া বটতলায় নির্মাণাধীন একটি হোটেলের ভেতরে আটকে রেখে তার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার পিঠ ও ডান পা ভেঙে দেয়। একপর্যায়ে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।
পরিবারের সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় আহত ইমামকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরদিন ইমামের ছেলে জাকারিয়া বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলো: শাহ আলম (৩৬), শাহাদৎ হোসেন (২৫), জাহিদুল ইসলাম (৪২), রাসেল (৪০), উজ্জ্বল হোসেন (২৫) ও জনি (২২)।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে এলাকার তিনটি মসজিদের মুসুল্লি ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত জাহিদুল ইসলাম রাজনৈতিক অঙ্গনেও সক্রিয় ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পর পুলিশের কাজে বাধা প্রদান, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে শাহবন্দেগী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম. মঈনুদ্দীন বলেন, “ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে