
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি-২৯৮ নং সংসদীয় আসনে কে পাচ্ছে বিএনপি’র মনোনয়ন? সমীরণ দেওয়ান নাকি ওয়াদুদ ভূঁইয়া!
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন এলাকা ও পাড়া মহল্লা জুড়ে চলছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নিয়ে আলোচনা সমালোচনা। দোকানে চায়ের আড্ডায় পছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে হচ্ছে বাকবিতন্ডা। কার হাতে উঠবে দলীয় প্রতীক ধানের শীষ! জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সমীরণ দেওয়ান নাকি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্তে জানানো হয়েছে, এবার নির্বাচনে ‘ক্লিন ইমেজ’ধারী প্রার্থীদের প্রাধান্য দেবে বিএনপি। বিতর্কিত বা অপকর্মের সাথে জড়িত কাউকে মনোনয়ন দেবে না দলটি। তাহলে ‘ক্লিন ইমেজ’ধারী সমীরণ দেওয়ানই কি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি আসনে বিএনপি’র প্রার্থী হচ্ছেন! এই সিদ্ধান্ত শুধু কেন্দ্রীয় বিএনপির নীতিনির্ধারণীদের হাতে যা সময় সাপেক্ষে জানা যাবে।
জানা গেছে, তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন এবং ২০১৮ সালে দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
অন্যদিকে, ওয়াদুদ ভূঁইয়ার অনুসারীরা মনোনয়ন পাওয়ার আশায় এলাকায় নিয়মিত সভা-সমাবেশ করছেন এবং কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ অভ্যাহত রেখে চলেছেন। আগামী দিনে কে হবেন এই আসনে ধানের শীষের কান্ডারি। সে অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন দলীয় লোকজন সারাও এলাকার সাধারণ মানুষ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল থেকে যাদের চূড়ান্ত প্রার্থী করা হয়েছিল, যারা দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং আন্দোলন-সংগ্রামে সম্পৃক্ত ত্যাগী ও ক্লিন ইমেজধারীদের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হবে।
দলটি এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ না দিলেও দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বসে নেই। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই নির্বাচনী এলাকায় যোগাযোগ বাড়িয়েছেন তারা। দলের নির্দেশনা মেনে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেও দেখা গেছে নেতাকর্মীদের। সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন তারা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে দলের হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দলের একাংশ সমীরণ দেওয়ান এর অনুসারী নেতা-কর্মীরা জানান, গত ২০০৮ সালের নির্বাচনে সমীরণ দেওয়ানকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। খাগড়াছড়ি সংসদীয় আসনটি জয় নিয়ে আসতে এই মূহুর্তে তাকে সারা বিকল্প চিন্তা করলে এটা হবে কেন্দ্রের ভুল সিদ্ধান্ত। নেতাকর্মীদের ধারণা সমীরণ দেওয়ানকে সারা অন্যকেউ মনোনয়ন পেলে খাগড়াছড়ি আসনটি বিএনপির হাতছাড়া হতে পারে। তবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত দলীয়ভাবে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে, তাকে বিজয়ী করতে কাজ করবেন তারা।
এদিকে বিএনপি’র তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও ক্লিন ইমেজের পাশাপাশি সুখে-দুঃখে কর্মীদের পাশে থাকা নেতাকে আগামী নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে চান।
অপরদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়ার অনুসারীরা বলেন, আন্দোলন- সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিক মামলার আসামি হয়েছে। জেল-জুলুম ও নির্যাতনে শিকার হয়েছে। এদিক থেকে বিবেচনা করে ওয়াদুদ ভূঁইয়া মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করেন তারা।
এ প্রসঙ্গে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সেটাই মেনে নেবেন।
উল্লেখ্য,গত ২৬ অক্টোবর (রবিবার) চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী জাতীয় নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে সবাইকে একসাথে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেন।
 
																			 জেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি :
																জেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি :								 









