ভারি বৃষ্টিপাতে রাজশাহী নগরীর দাসপুকুর এলাকায় রেললাইন ঘেঁষে অবৈধভাবে নির্মাণ করা সীমানা প্রাচীর রেললাইনের ওপর ধসে পড়ে। এতে রাতে দুটি ট্রেন আটকা পড়লে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। রেল কতৃপক্ষ প্রায় আড়াইঘণ্টা সময় ধরে রেললাইন থেকে প্রাচীর সরানোর পর ট্রেন দুটি ছেড়ে গেছে প্রায় ৩ ঘণ্টা দেরিতে।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভারি বৃষ্টিপাতে সীমানা প্রাচীরটি ধসে পড়ে রেললাইনে।
রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেললাইনের মাঝে দাসপুকুর এলাকায় ঈদগাহের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। এই প্রাচীরের পাশে ভেতর দিকে উঁচু মাটি থাকলেও বাইরে রেললাইনের দিকে নিচে তেমন মাটিই ছিল না। ফলে তুমুল বৃষ্টির মধ্যে এই প্রাচীরের প্রায় ১০০ মিটার ধসে পড়ে। রেললাইনের দুটি পাতের ওপরেই পড়ে প্রাচীরের ইট। এতে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। সীমানা প্রাচীরের যে অংশটি এখনও ধসে পড়েনি সেটুকু রাতে ভেঙে ফেলেছে রেল কতৃপক্ষ।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রেললাইনে প্রাচীর ধসে পড়ার পর বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। তখন ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে থামিয়ে রাখা হয়। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীমুখী কমিউটার ট্রেনকে কাঁকনহাট রেলওয়ে স্টেশনে থামিয়ে রাখা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন এবং রেলওয়ের কর্মীরা গিয়ে রেললাইনের ওপর থেকে দেয়ালের ইটগুলো সরিয়ে ফেলে। এরপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘রেলওয়ের প্রয়োজনে যে সিগন্যাল পোস্ট নির্মাণ করা হয়, সেটিই আমরা রেললাইন থেকে ৭ ফুট দূরে করি। আর এই ঈদগাহের সীমানা প্রাচীর অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল রেললাইন থেকে মাত্র আড়াই ফুট দূরে। ফলে এই প্রাচীরের পুরোটা এসে পড়েছে রেললাইনের ওপর। এতে দুটি ট্রেন আড়াই ঘণ্টা আটকা ছিল। লাইন থেকে ইট সরিয়ে নেয়ার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় রেলওয়ের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ঈদগাহ কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি। যে অংশটুকু এখনও ধসে পড়েনি, সেটুকুও সরিয়ে নিতে বলেছি যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। তারা দেয়াল সরিয়ে নিতে চেয়েছেন।