শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামে বসতভিটার সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী হামলায় ৫জন আহত এবং বাড়ীতে ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১৯সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জারুল ইসলাম বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় ৯জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ১১টার দিকে নুরু মিয়া গংরা বসত ভিটা দখলের উদ্দেশ্যে রামদা, লোহার রড, কুড়াল, শাবল, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে জারুল ইসলাম গংদের উপর। বাঁধা দিতে গেলে দু’জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম সহ বাড়িতে উপস্থিত ৫ জনকে আহত করে। এসময় তারা জারুল ইসলামদের মারপিট করে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরবাড়ী ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। বিবাদীরা ঘরে প্রবেশ করে নগদ ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা, ১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, মাছ ধরার ৩টি ঝাকি-জাল, পানির টিউবওয়েল লুট করে নিয়ে যাওয়া সহ তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। তাদের ডাক-চিৎকারে স্বাক্ষীগণ ও স্থানীয়রা এগিয়ে এসে গুরুত্বর আহত অবস্থায় আসাদুজ্জামান, শাহিনুর বেগম ও রুহুল আমিনকে উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী, হামলায় তাদের আনুমানিক ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন ও লুটপাট করা হয়েছে।
অপরদিকে হামলায় গুরুতর আহত আসাদুজ্জামান (৩২), শাহিনুর বেগম (২১) ও রুহুল আমিন (৬৫) শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধী রয়েছেন। বাদী জারুল ইসলাম ও ফাতেমা বেগম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতেই ছিলেন। এদিকে পুলিশ ভুক্তভোগী বাদীকে আটক করে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এনিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার এবং এলাকাবাসী জারুল ইসলামদের জীবনের নিরাপত্তাসহ দোষীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “এ ঘটনায় উভয় পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।